সে নুপূরের অনুরণন-
শোণিতে টঙ্কার তুলে মিলিয়ে যায় আঁধারে, ঘড়ির কাঁটার অবাধ্য বিচরণ; স্বপ্নের সাত রঙে ঢেলে দেয় জল। শুরু হয় রাত্রিযাপন কালের ধূসর খেয়ায়, এপিটাফে প্রস্ফুটিত হয় আমার নাম!
কোথায় ডাহুক সুর তুলে গেয়ে যায় গান, নীরব প্রান্তর ছুঁয়ে কম্পন তোলে পাহাড়ের গায়। প্রতিধ্বনি প্রতিফলিত সত্তার গভীরে- সে সুর আর্তনাদ তোলে, নিলয়ে অলিন্দে, কোথায় হারালো সে রংধনু? অবারিত প্রান্তরের বুকে অস্তমিত রক্তিম অর্ক, ঘোলাটে জলে স্বপ্নিল তোমার মুখ- নেই আজ কোথাও!
ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন এপিটাফ, গির্জার ঘণ্টায় ক্ষরিত অশ্রু, তবু সময় ছোটে! অজানা গন্তব্যে, কোনো গোলক ধাঁধায়- টেনে নিয়ে আমায়, কোন নারীর হৃদপিন্ড চিড়ে।
[কবি উৎকলিত রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী; বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ’এর সঙ্গে কাজ করছেন।]
মন্তব্য করুন