কত দিন গেল,কত রাত পার হলো,
তারপর কত অমাবশ্যার রাত এলো,
কত পূর্ণিমা চলে গেল
আপনি ফিরলেন না।
আর, আজ হঠাৎ, এই শুভ্র সকালে
আপনার দেখা মিলল।
বলেন, ছিলেন কোথায়?
আর- আপনাকে এমন শুকনো,পরিশ্রান্ত,
কিছুটা মলিন,আর এমন রোগাটে দেখাচ্ছে কেন?
ঠোঁট ফুলিয়ে , মুখটা বাঁকিয়ে,
মাথাটা হালকা ঝাঁকিয়ে
মৃদ্যু হাস্যোজ্জ্বল বদনে,
অনেকটা অভিমনী সুরে বললেন,
“আমাকে খুঁজে বের করলেন না কেন?”
তারপর বললেন,
আপনার পথ পানে চেয়ে, কত শত প্রহর গুণে
ক্লান্ত-শ্রান্ত আমি
বের হলাম অবশেষে পথে-প্রান্তরে
খুঁজতে আপনাকে।
বলেন,"কেমন আছেন?"
আমি আছি বেশ । পুরানো ছদ্মবেশে।
আমার আপন স্বপ্নলোকে।
হুম ,বুঝলাম-
কিন্তু- এমন দেখাচ্ছে কেন আপনাকে?
এত কষ্টে, বহু পথ ঘুরে
কত শত বাঁধা অতিক্রম শেষে-
খুঁজে পেলাম আপনাকে।
আর আপনি কিনা- দেখে আমাকে
পারলেন না খুশি হতে!
পারতাম হতে খুশি, তবে কি জানেন
বের হয়েছিলাম আমিও
খুঁজতে আপনাকে।
চলতে চলতে পথে,
বহু ললনা ইশারায় ডেকেছিল কাছে।
ঊষালগ্নের রক্তিম আভা
তপ্ত দুপুরের গরম বাতাস
গোধূলির নীড়ে ফেরা পাখিরা
চাপাস্বরে কি যেন বলেছে আমাকে।
বুঝতে পারিনি, বুঝতেও চাইনি
সেসব চাপাগুঞ্জন।
“নির্দিষ্ট অস্তিত্ব"- সেতো কিছু নয়
সবই মোহ, মায়া, ক্ষনিকের ভালোলাগা।
তাইতো ফিরছি আপন রাজ্যে,
পেছনে ফেলে সকল পিছুটান।
সবকিছু শুনে, স্তম্ভিত আপনি
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে
রইলেন চেয়ে অপলক দৃষ্টিতে।
ক্ষনিক বাদে-
হয়ে মৃদু মনঃক্ষুণ্ন
বললেন- রবি ঠাকুরের সেই অমর বাণী,
"জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে,
ফিরিয়া ফল কী। পৃথিবীতে কে কাহার"
তারপর-হন হন করে দ্রুতপদে
ফিরে চললেন আপন গন্তব্যে।
মন্তব্য করুন