মায়ের পছন্দ ছিল
নিরন্ন মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়া
আতেলা মাথায় তেলে জলে শান্তি দেয়া।
মায়ের বুকটা যেন সাগর,
সগৌরবে জোয়ার আছড়ে পড়তো,
জলমগ্ন হতো গরিব দুখীর দরজা।
মায়ের মৃত্যুতে ছবিরন কেঁদেছিল খুব
ভিখারিনী ছবিরনের থলেটা চাঙ্গা হয়ে উঠতো
মায়ের কাছে এলে।
অনাহুত কিসমতের মায়ের ভালো-মন্দ খেতে
আবদার করার মানুষটা চলে গেল বলে
বুক চাপড়ে নালিশ করেছিল খোদার কাছে।
মা তো একটা পৃথিবী, একটা ঠিকানার বেড়াজাল
আমি ঠিকানা হারিয়ে ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ি কুলহীন কিনারায়।
জানো মা; পৃথিবীর কোথাও আজ আমার ঠাঁই নেই
তোমার সামান্য আঁচলের নিচে আমার একটা দেশ ছিল।
আজ দেশও নেই, দশও নেই।
মা না থাকলে ফেরারি জীবনটা বড্ড একা।
মা, আজ হেরে যাওয়া মাথায় সুযোগের হাত ওঠে
সান্ত্বনার বোবা কান্না ফিরে যায় তোমার কাছে।
তুমি নেই বলে ভালোবাসে না নদীটাও
স্মৃতির জোয়ারে ঘা মেরে চলে যায় অহর্নিশ
হৃদয় গহিনে জ্বলন্ত লাভা উদগিরণ হয়ে
জ্বলে যায় আজ জীবনের চারপাশ।
মন্তব্য করুন