সবাই তখন ‘আবু সাঈদ’
আবু সাঈদ’কে নিয়ে লেখতে গেলে
যুৎসই শব্দ খুঁজে পাই না
খুঁজে পেলেও সাজাতে পারি না!
সাদা কাগজে আঁকিবুঁকি কাটাকুটি
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা আঁকিবুঁকি কাটাকুটি!
সাদা কাগজের দিকে তাকিয়ে থাকি
সাদা কাগজ ফুঁড়ে উঠে আসে আবু সাঈদ!
কী অসীম সাহসী যুবক
দুই হাত প্রসারিত করে বন্দুকের সামনে দাঁড়ানো!
হয়তো বিশ্বাস ছিল গুলি করবে না
প্রথম গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে আবারও উঠে দাঁড়ানো!!
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকানো না...
সবাই জেগে উঠলো,
সবাই তখন সাহসী,
সবাই তখন ‘আবু সাঈদ’!
.
আমার বাপজান
শান্তশিষ্ট খোকা,
বাসায় না জানিয়েই মিছিলে
উত্তাল মিছিলের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর।
নিথর নিস্তব্ধ খোকা,
কপালের মাঝখানে গুলির চিহ্ন
একটি মাত্র গুলি, কী নিখুঁত নিশানা!
কাফনে খাটিয়ায় খোকা,
মমতায় কপালে হাত বুলাচ্ছেন মা,
হাতে লাগছে কপাল থেকে চুঁয়ে পড়া রক্ত!
‘আহারে, আমার খোকা
এত্ত বড় হয়ে গেলি কবে!
পুরা খাটিয়ায় তো দেখি আমার বাপজান!’
.
টকটকে লাল
(মুগ্ধকে উৎসর্গ করে লেখা)
বর্ষায় ভিজছি আনমনে,
বর্শার মতো শরীরে বিঁধছে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি!
চারপাশে এত পানি,
তবুও অপার মুগ্ধতায় শুধু কানে বাজছে,
‘পানি লাগবে কারো? পানি-পানি।’
বৃষ্টির পানির রং দেখি টকটকে লাল!!
.
[ডা. মোহাম্মদ এজাজ হোসেন জন্ম ১৯৬৫ সালে ঢাকায়। বাবা মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন, মা রাবেয়া খাতুন, দুই ভাই এক বোন। স্ত্রী ডা.সায়রা আক্তার অপু, দুই মেয়ে সারাফ ওয়ামিয়া তাজরিয়ান অহনা আর সারাহ ওয়াজিহা তাজমীন আরিনাকে নিয়ে নিবিড় সংসার। পড়াশোনা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ঢাকা, ঢাকা কলেজ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে। বর্তমানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত। ভীষণ ভালো লাগে নিজের অসুস্থ রোগীর ভালো হয়ে যাওয়ার পর হাসি মুখ দেখা। অবসরে পরিবারের সাথে সময় কাটানো, বই পড়া ছাড়াও শখ বেড়ানো, কাছ থেকে সমুদ্র পছন্দ আর দূর থেকে পাহাড়। ‘একাত্তর ও আমার শৈশব’, ‘আরিনার সাথে কথোপকথন’ এবং ‘মেঘ-বৃষ্টি-রোদ্দুর’ নামে তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তার।]
মন্তব্য করুন