বাড়িটা পড়ো বাড়ির মতো খাঁ খাঁ করছে,
গাভীটা নতুন মালিকের গন্ধ শুকে
পায়না পুরানোর ঘ্রাণ।
বিড়াল টা মা’য়ের মাথার কাছে শুয়ে
এখন আর আরাম পায় না, নেই তো সে
ওকে আগলে রাখার।
কেউ কোথাও নেই, শূন্যতার দশমিক
চারপাশে কেবল বিন্দু হয়ে আছে।
###
আমাদের টান টান উত্তেজনা আর নেই
কে ওঠে কার আগে শীতের সকালে,
রস মুড়ি না হয় মা’য়ের বানানো রস চিতই
উঠেই পড়ি না হলে খেয়ে নেবে সকলে।
রস আর ,পিঠা’তে আজ ধরেছে মরিচা
এত পিঠা রসিক বাবা আমার
নেই তার রস চিতই এর আহ্লাদে
সব নেই করে কেন চলে গেলে?
আজ সব নেই, নেই কিছুতে কোন সাধ।
###
তোমার চশমাটা তুলে রেখেছি
চশমার ফ্রেমে বাঁধানো তোমার মুখটা,
বুকের ভেতর ঝুলিয়ে রেখেছি
যত ঝড় আসে আসুক উড়তে দেবো না এই সুখটা।
###
চোখ বুজলে ঢেঁকি পড়ার তালে তালে
তোমার পদধ্বনি শুনি,
ডালের বড়ি কুটে যাচ্ছ সমস্ত রাত,
আবার রাতময় জায়নামাজ এর বুকে
সুদীর্ঘ মোনাজাত,
কি হিম্মত ছিলো তোমার!
মনের জোরে জিতে গেছো মা
তুমি হারনি, হারতে পার না
তোমার বিশ্বাস ছিল তোমার মালিক
তোমাকে বিজয় দিবেন।
###
সন্ধ্যেটা বড় ফাঁকা ফাঁকা লাগে মা।
তোমাকে ছাড়া, বিষন্ন বাতাস আছড়ে পড়ে
বাড়িময়, এত আয়োজন তোমাকে ছাড়া।
সবাই বাড়ি, চাঁদেরহাট বসেছে মায়ের ঘরে
মাকে ঘিরে, হাসিমুখে মা বাউরি বাতাসে
জীবন বিবর্তনের ইতিহাসে
তছবি হাতে জিকির করে।
###
অনর্গল কথা বলতে পারা
মা আমার, নিঃশব্দে চলে গেলেন।
জীবনের শেষ দেখাটা আর দেখা হল না,
কানে কানে বলা হল না
মা আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন-ই
কারণ তুমি তো মানুষ কে ভালবাসতে।
মন্তব্য করুন