শুনতে কি পাও? বিপ্লবের পায়ের আওয়াজ,
শুনতে তোমাকে হবেই সেই পুঞ্জিভূত শব্দের ধ্বনিত দরাজ।
বন্ধু হাওয়ায় আসে ভেসে, প্লাবণ-স্রোতের মতই সোচ্চার গণ অধিকার,
বৈষম্য-প্রবঞ্চণা-তঞ্চকতায় মিছে আশ্বাসের প্রতিধ্বনির চিৎকার।
বিপ্লব কি? উন্নত শিরে-বক্ষে-প্রসারিত হস্তের প্রতিরোধের নিরস্ত্র-নির্বাক ভাষা,
নাকি! অভিষ্ট লক্ষ্যে স্থির থেকে ক্রমশ: দৃঢ় লয়ে আগুয়ান হওয়ার প্রচেষ্টা।
অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাতৃভাষা থেকে মাতৃভূমি অর্জনে হয়েছে দ্রোহযাত্রা,
অহিংস-সহিংস-পেশীর যাচিত ঝংকারে প্রথিত হয়েছে মুক্তিরই বারতা।
নবীণের সংস্কার আলোকবর্তিকায় বহ্নিমূখের পদযাত্রার বহিঃপ্রকাশও প্রকট,
প্রবীণকূলের ভাষা-পথ-বিকল্প উত্তরণ সন্ধানের ঘাটতিতেই বাড়ে সংকট।
সংস্কৃতি-রাজনীতি-সমাজনীতির বিপ্লবের ইতিহাসে নবীণরাই সর্বাগ্রের দূত,
বিশ্বব্যাপী সমাজ-শিল্প-সাম্যবাদের জয়গান তাঁদের কল্যাণেই হয় মেরামত।
প্রকৃত বিপ্লবের রসদই হচ্ছে শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত জ্ঞানে,
তাইতো ওঁরা যত বেশী পড়ে, তত বেশী জানে, তত কম মানে।
[কবি ম. রাশেদুল হাসান খান জগন্নাথ বিশ্বদ্যিালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স’ বিষয়ে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন তিনি। কবি পেশাগত জীবনে একজন ব্যাংকার; বর্তমানে তিনি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ফার্স্ট এসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।]
মন্তব্য করুন