সোনালি সুর ----------------- সোনালি শহরে, সুরের শেষ প্রহরে, অন্ধ আবেগের চাদরে- মোড়ানো হৃদয়ের সফরে পূবালী পবনে- বৈশাখী প্রকৃতির কাছে সূর্যের দখিনা দিশায় হারিয়ে যাই আমি বারংবার।
মৃত্যুর সাথে লড়ে চলা- উচ্ছিষ্টের সাথে কথা বলা, ভেঙে তার সীমার তালা, রিক্তের বেদন বলে শূন্যতার আমন্ত্রণ মালা, জানি আমি জানি সে-তো - অহমিকার জলে তার পারাপার।
দুর্বল মন- বজ্র কঠিন ক্ষণ, এ কূলে একা দাঁড়িয়ে আমি দেখি ওপাড়ে অস্তমিত তুমি মাঝে এক সমুদ্র আত্মঘাতী স্বপ্ন! আমি এও জানি- পৃথিবীর কোন পাত্র- একে দিতে পারবে না আকার।
তবু- কবির কাব্যে পূবালি পবনে বৈশাখী প্রকৃতির নির্মম আত্মগাঁথা, স্থান পাবে বারবার।
এ এক এমন উপমা যার স্থান নিবে- নেই কোনো অনুপমা। চাই না সে উপমা অথবা পরিবর্তে কোনো অনুপমা। শুধু- সঠিক সুন্দর সুর, অন্তিম সীমানায়, যথেষ্ট হবে খোদা- পুনরায় বাঁচতে আবার।
স্কিৎসোফ্রেনিয়া -------------------- আমি আকশের দিকে চেয়ে থাকি জোছনা রাতে-
চাঁদ যেন আমায় দেখে লজ্জায় তার মুখ আড়াল করে।
মেঘের ফাঁকে উঁকি দেয় আবার যেন আমাকেই খুঁজে ফেরে ধরিত্রি মাতার বুকে।
কেনো জানি সন্দেহ জাগে- বুঝি আমার বুক ভর্তি মায়া-ভালোবাসাও কম পড়ছে তার জন্য।
আমি দুর্বল তাই প্রতিযোগিতায় নামি চার পাশের প্রকৃতির সাথে।
আমি ছুটছি, আমি নিরন্তর ছুটে চলেছি আমার ভালোবাসার পরিক্ষায়।
আমার সকল দুর্বলতায় শক্তি জুগিয়ে যাচ্ছে আমাকে।
আমি হারতে চাই না- তাই ক্লান্তও হই না।
দূর থেকে কি একটা আওয়াজ আসছে আমার কানে।
-নিশীথিনী ডাকছে। এ-কি ! আমি তো স্থির!
শুধু আমি নই, - সব কিছুই স্থির।
শরিরের প্রতিটি লোম কূপ থেকে ঘাম ঝড়ছে। পৌষের শীত আমায় দেখে রীতিমতো লজ্জিত।
মন্তব্য করুন