একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা ও ইন্সটিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ (অবঃ)-এর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’।
শুক্রবার (১৪ জুন) ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ এক শোক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা এবং ইন্সটিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ (অব.)-এর মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।
জেনারেল রশীদের অকাল মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে এক কৃতি সন্তানকে। আমরা হারিয়েছি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলনের এক অকুতোভয় সহযোদ্ধাকে। তার পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি শুক্রবার ভোরে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি ক্যানসার ও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আবদুর রশীদ ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন এবং বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সামরিক বাহিনীর চৌকষ কর্মকর্তা জেনারেল রশীদ চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর নিজেকে যুক্ত করেছেন নাগরিক আন্দোলনে। বাংলাদেশে জঙ্গি মৌলবাদের উত্থান, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবলয়ের সঙ্গে এর সম্পৃক্তি, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার সংকট ইত্যাদি বিষয়ে তিনি বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকীতে নিয়মিত লিখেছেন যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারকে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। বিভিন্ন সময়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জাতীয় সম্মেলন এবং বহির্বিশ্বে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তার তথ্যবহুল বিশ্লেষণী ভাষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে শুধু বাংলাদেশে নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহেও তিনি সুপরিচিত ছিলেন।’
মন্তব্য করুন