নানা আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়ছে। এ উপলক্ষে ছায়ানট নজরুল-উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৫ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
এতে পরিবেশিত হয় গীতিআলেখ্য, একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেয়।
গীতিনৃত্যালেখ্য ‘এসো হে সজল শ্যামল ঘন দেয়া’ পরিবেশন করেন সনজীদা খাতুন। সম্মেলক গান ‘চোখ গেল চোখ গেল’ পরিবেশন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ। একক সংগীত পরিবেশন করেন নাশিদ কামাল, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান, কানিজ হুসনা আহম্মদী সিম্পী, মনীষ সরকার, শারমিন সাথী ইসলাম, ময়না জয়িতা অর্পা, মফিজুর রহমান, বিটু কুমার শীল, লতিফুন জুলিও, সঞ্জয় কবিরাজ, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, কল্পনা আনাম প্রমুখ।
একক নৃত্য ‘এসো হে সজল শ্যামল ঘন দেয়া’ পরিবেশন করেছেন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা তাথৈ, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আবৃত্তি করেছেন মাসুদুজ্জামান। পাঠ দান করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডালিয়া আহমেদ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক ও আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ, মুখ্য ছিলেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শুরুতে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যশিল্পী দল ‘সৃজন ছন্দে আনন্দে’। নৃত্য পরিচালনা করেন মেহরাজ হক তুষার এবং সহযোগিতা করেন আনন্দীতা খান ও এস কে জাহিদ। গীতি আলেখ্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংগীতদল, সংগীত পরিচালনা করেন বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। সমবেত নৃত্য ‘আমার কৈফিয়ত’, ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়ে’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যশিল্পী ও শিশু নৃত্যদল। নৃত্য পরিচালনা করেন জয়দেব পালিত এবং সহযোগী ছিলেন এস কে জাহিদ। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থা ‘জয় হোক জয় হোক’ এবং ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীতদল ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য’।
এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন ছন্দা চক্রবর্তী ‘কিশোরী মিলন বাঁশরী/ লাইলী তোমার এসেছে ফিরিয়া’, সালাউদ্দিন আহমেদ ‘আসলো যখন ফুলের ফাগুন/গভীর নিশিথে ঘুম ভেঙে যায়/ ব্রজগোপী খেলে...’, সুজিত মোস্তফা ‘তোমার বীণা তারের গীতি/ কোন মধুর শরাব দিলে, ফাতেমা তুজ জোহরা ‘নাচের নেশার ঘোর লেগেছে/ কোথায় খুঁজিস তুই ভগবান, রাজিয়া মুন্নি ‘মোর ঘুম ঘোরে এলো মনোহর/প্রিয় এমন রাত যেন’, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, শারমীন সাথী ইসলাম ময়না ‘এসো বঁধু ফিরে এসো’। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তামান্না তিথি ও মীর বরকত।
মন্তব্য করুন