ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মাননা প্রাপ্ত, বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্ম ভাবনা, দার্শনিকতা, মানবতা ও বিশ্বভাবনায় ছাপ ফেলেছিল পূর্ববঙ্গ। বাংলাদেশ যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কাছে ঋণী তেমনি তিনিও পূর্ববঙ্গের কাছে ঋণী। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
শুক্রবার (১০ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী দিন ছিল আজ।
ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সবসময় রবীন্দ্র রচনাবলি থাকত। রবীন্দ্রনাথের দর্শন, মানবতাবোধ নানাভাবে বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতায় উচ্চারণ করেছেন। যখনই প্রয়োজন হয়েছে তিনি রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাউলদের চিন্তা দর্শন, তাদের গান, আধ্যাত্মবাদ কবিকে পরিপূর্ণ করে। তাদের সাহচর্যে এবং পূর্ববঙ্গের ধানক্ষেত, মাঠ, কৃষক, প্রাকৃতিক পরিবেশে কবি নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন। কবির আধ্যাত্ম ভাবনা, দার্শনিকতা, মানবতা ও বিশ্বভাবনায় ছাপ ফেলেছিল পূর্ববঙ্গ, বাংলাদেশ যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কাছে ঋণী তেমনি তিনিও পূর্ববঙ্গের কাছে ঋণী।
সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেবল বিশেষ দিনগুলোতে স্মরণে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবনে তার দর্শন, সাহিত্য ভাবনা অনুসরণ ও চর্চা করতে হবে।
সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যে আলোচনায় স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অতিথিদের স্বাগত জানান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এরপর সমাপনী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সমবেত সংগীত ‘সখা মোদের বেঁধে রাখো প্রেমডোরে’ এবং ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব’ পরিবেশন করে সুরের ধারা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশন করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’।
মন্তব্য করুন