বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ (বিএফআরএস) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর যৌথ উদ্যোগে বিআইআইএসএস (বিজ) অডিটোরিয়ামে বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় ‘Bangladesh on a New Journey: Moving Beyond the Regional Identity’ (‘বাংলাদেশ অন এ নিউ জার্নি’) শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাওসুল আযম সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
বইটির সম্পাদক ভারতের প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বইটির পরিচিতি তুলে ধরেন এবং বইটির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। বইয়ের আলোচনা পর্বে অংশ নেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (আইএসএএস)-এর পরিচালক ড. ইকবাল সিং সেভিয়া, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই)-এর সভাপতি রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির এবং বিএফআরএসের চেয়ারম্যান এএসএম শামছুল আরেফিন।
প্রধান অতিথি ড. আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ এবং ভারতের সোনালি সম্পর্কের অধ্যায় তুলে ধরে বলেন, এ বইটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় দিকগুলো তুলে ধরবে। বইটি আঞ্চলিক সম্পর্কের নতুন দ্বার খুলতে সহায়তা করবে।
শ্রীরাধা দত্ত বলেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য অনুকরণীয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও আশা করা যায় বইটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিজ্ঞ আলোচকরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এখন ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ইন্দো-প্যাসিফিকে তার প্রাসঙ্গিকতা বহন করে। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি ধারণার প্রতি তার সদিচ্ছা প্রদর্শন করেছে।
আলোচকরা বলেন, সার্ক ও বিমসটেকের মতো উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংহতি বাড়ানোর জন্য অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। তারা আরও বলেন, ড. শ্রীরাধা দত্ত সম্পাদিত বইটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দক্ষ কূটনীতি এবং টেকসই সংযুক্তির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে দেশের সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সাবেক কূটনীতিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব।
মন্তব্য করুন