শেষ হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
বইমেলায় সমাপনী অনুষ্ঠানে গুণমানসম্মত সর্বাধিকসংখ্যক বই প্রকাশের জন্য এ বছর কথাপ্রকাশকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, বইয়ের শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য মনজুর আহমদ রচিত একুশ শতকে বাংলাদেশ: শিক্ষার রূপান্তর গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত যাত্রাইতিহাস, বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত কিলো ফ্লাইট প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস-কে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খি রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার, প্রকাশনাগুলোর নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট), বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বই পড়ার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে মানবিক দর্শন জাগ্রত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য ছিল ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’
মন্তব্য করুন