জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও তরুণ ফোকলোর গবেষক আরমিন হোসেনের চতুর্থ গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘উত্তর-আধুনিকতা ও ফোকলোর’ প্রকাশিত হয়েছে। ফোকলোরের সাথে তত্ত্বগত আলোচনা সমৃদ্ধ এ গবেষণাগ্রন্থটি পাওয়া যাবে বইমেলার ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে।
গবেষণাগ্রন্থটিতে ফোকলোরের সাথে উত্তর-আধুনিক কাঠামো নিয়ে লেখক বিস্তর আলোচনা করেছেন। এ ছাড়াও ফোকলোরের রিসাইকেল, ফোকলোরের বহুত্ববাদসহ উত্তর-আধুনিকতার বিভিন্ন দশা, আরবান ও ডিজিটাল ফোকলোরকে উত্তর-আধুনিক তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণা গ্রন্থটিতে।
আরমিন হোসেন জানান, ফোকলোর গবেষণা একদিকে যেমন ঐতিহ্যকেন্দ্রিক, তেমনি চলমান। চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিতে অর্থাৎ গ্রামের সাথে ফোকলোর শব্দটিকে একচ্ছত্র করে না দেখে তত্ত্বালোকে ফোকলোরের প্রবণতাগুলোকে শনাক্তকরণের মাধ্যমে গবেষণা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ঐতিহ্যে প্রথা, আচার, বিশ্বাস, উৎসব, প্রবাদসহ বিভিন্ন উপাদান, সেদিক থেকে নগরে উদ্ভব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যাশ্রিত ফোকলোর একইসাথে প্রবাহিত হচ্ছে নাগরিক মননে। কখনো দীর্ঘসময় অতিক্রান্তের ফলে তা অবিকৃত থাকছে না। কখনো-বা কিছু উপাদান একবারেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কখনো সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে রূপান্তরিত রূপ হিসেবে নগরে টিকে রয়েছে। গ্রন্থটি আমার প্রায় ৪ বছরের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি উত্তর-আধুনিকতা প্রবণতার আলোকে ফোকলোরের তাত্ত্বিক ডিসকোর্স উপস্থাপন করার।
আরমিন হোসেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ফোকলোরের বিভিন্ন বিষয়ে তার গ্রন্থ ও গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের ইতিকথা পাবলিকেশন থেকে তার তৃতীয় গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘পরিবেশ ফোকলোর’ প্রকাশিত হয়েছে। অন্য দুটি গ্রন্থ হলো ‘হিজড়া লোকগোষ্ঠীর পরিবর্তিত সমাজ কাঠামো: বিবাহকেন্দ্রিক কৃত্যানুষ্ঠান’ এবং ‘১৫০ বছরের ঐতিহ্যে গহনাপল্লী’।
মন্তব্য করুন