গান, কবিতা ও নাটিকা পরিবেশনের মাধ্যমে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ বাংলা একাডেমির সাংস্কৃতিক মঞ্চে ছাত্রদলের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পালিত হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের আয়োজনে দল-দীপশিখা প্রযোজিত ‘রক্তের ঋণ ও মুক্ত স্বদেশ’ শীর্ষক এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পালিত হয়।
রাত সোয়া আটটায় শুরু হয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। তারপর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ‘রক্তের ঋণ ও মুক্ত স্বদেশ’ শীর্ষক এ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় শহীদ ওয়াসিমের শেষ আহ্বান ‘চলে আসুন ষোলশহর’ নামে একটি মূকাভিনয় মঞ্চস্থ করা হয়।
স্বৈরাচার হাসিনার আমলে সাধারণ এক রাজনৈতিক কর্মীর কারণে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নেমে আসা বিভীষিকাময় নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে অভিনেতা শহীদুল্লাহ সবুজের নির্দেশনা ও পরিচালনায় একটি নাটিকা পরিবেশিত হয়।
জুলাই আন্দোলনে র্যাপ সংগীতের একটা বিরাট প্রভাবের কথা মাথায় রেখে হাসিনার অপশাসনবিরোধী একটা র্যাপ সংগীত পরিবেশন করা হয়। বেশ কয়েকটি আবৃত্তিও পরিবেশন করা হয়।
‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তিসেনা’, ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’সহ ‘আমি বাংলায় গান গাই’সহ কিছু জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গান মঞ্চে পরিবেশন করা হয়।
এ উপলক্ষে পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক নির্মিত ‘রক্তের ঋণ ও মুক্ত স্বদেশ’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্রও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, অমর একুশে বইমেলায় ‘দল-দীপশিখা’ নামে একটি স্টল পরিচালনা করছে ছাত্রদল( স্টল নং-১০৪৫)।
‘রক্তের ঋণ ও মুক্ত স্বদেশ’ এই সাংস্কৃতিক আয়োজনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে দর্শকদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
এ সময় আয়োজক হিসেবে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান এবং সঞ্চালনা করেন সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদল নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক দর্শক এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তার বক্তব্যে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারার বাইরে বাংলাদেশে ইতিবাচক রাজনীতির শুভসূচনা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেধা-মননের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিকাশেও অনবদ্য ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবার পাশে থাকবে।
সহস্রাধিক দর্শক-শ্রোতাকে পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপভোগ করতে দেখা যায়। উপস্থিত দর্শকরা ছাত্রদলের এরকম ইতিবাচক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের প্রশংসা করে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে ছাত্রদলের কাছে আরও বেশি বেশি এরকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন