হাসিনা দিল্লিতে বসে আজ বাংলা একাডেমি পুরস্কার দিলেন। হ্যাঁ, এটাই সত্যি। ঘোষিত পুরস্কারের তালিকা দেখে আজ তাই মনে হলো। হাসিনা ঢাকায় থাকলে এবার এরাই পেতেন এই পুরস্কার বলে মন্তব্য করেছেন তরুণ কবি ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রিয় সদস্য সাইয়েদ জামিল।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, একটা গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলা একাডেমির এই বারো... দেখতে জঘন্য লাগছে। পুরস্কার যেন ঠিকঠাক আছে এমন বোঝাতে সলিমুল্লাহ খানের গলায়ও এটা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। খানের যা বয়স তাতে তার লজ্জা থাকলে এই পুরস্কার তিনি গ্রহণ করবেন বলে মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, বাংলা একাডেমির এই আওয়ামী তোষণের প্রতিবাদস্বরূপ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তারিখের আলোচক থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে কবি হেলাল হাফিজের ওপর নির্ধারিত অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে আলোচনা করছি না আমি। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
বাংলা একাডেমির আওয়ামী তোষণ নিপাত যাক।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটি। পুরস্কার ঘোষণার পর এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
২০২৪ পাচ্ছেন ১০ জন। অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেবেন।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন- কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ–গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রস্তাবক কমিটির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটির সিদ্ধান্তে একাডেমির নির্বাহী পরিষদ তা অনুমোদন করে।
মন্তব্য করুন