সারা দেশে বিভাগীয় পর্যায়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে যন্ত্রসঙ্গীত উৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে যন্ত্রসংগীত উৎসব।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম ফরহাদ। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন। বাংলা ঢোল বাদনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে যন্ত্রসংগীত উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
পরিবেশনার শুরুতেই ‘সারোদ’ উপস্থাপন করেন বাবুল কান্তি বিশ্বাস (কুমিল্লা) ও তার সহযোগীরা। ‘ধুধুক’ পরিবেশন করেন সচীব চাকমা (রাঙামাটি) ও তার সহযোগীরা, ‘মোহনবীণা’ পরিবেশন করেন দোলন কানুনগো ও তার সহযোগীরা।
এরপর ‘বেহালা’ পরিবেশন করে ভায়োলিনিস্ট চট্টগ্রাম, ‘সেতার’ পরিবেশন করেন রোজী সেন ও তার সহযোগীরা, আবারও ‘বেহলা’ পরিবেশন করেন শ্যামল চন্দ্র দাশ ও সহযোগীরা, ‘সানাই’ পরিবেশন করেন বাবুল জলদাস ও তার সহযোগী। দলীয় ‘তবলা লহড়া’ পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের তবলা বিভাগ। ‘হাওয়াইন গিটার’ পরিবেশন করেন বাবুল কান্তি দে ও তার সহযোগীরা, ‘এজ্রার্স’ পরিবেশন করেন মদন মোহন ঘোষ ও তার সহযোগীরা, ‘বুং পাইক (ঢুল)’ পরিবেশন করেন চ থোয়াই মং চাকমা (বান্দরবান) ও তার সহযোগীরা, এককভাবে ‘তবলা লহড়া’ পরিবেশন করেন আদ্রিত চৌধুরী ও তার সহযোগীরা। দলীয়ভাবে ‘বাঁশি’ পরিবেশন করেন বংশীধ্বনী, চট্টগ্রাম এবং ‘দোতারা’ পরিবেশন করেন সুরধনি মিউজিক একাডেমি।
পৃষ্ঠপোষকতা ও চর্চার মাধ্যমে সংগীত যন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা এবং শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দেশব্যাপী এ আয়োজনের অংশ হিসেবে গতকাল ৭ ডিসেম্বর সারা দেশে ৬ জেলায় একযোগে যন্ত্রসংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন