অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, কেন বারবার এত কষ্ট, ত্যাগ স্বীকার করার পরও জায়গাটা ধরে রাখতে পারি না। কারণ আমাদের সমাজই এভাবে গড়া!
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৭১ এবং ২০২৪-এর সাক্ষী আমি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি হচ্ছে ২০২৪। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। আমি পুনর্জন্মে বিশ্বাসী। ২০২৪ সালের যে ছেলেমেয়েদের রাস্তায় দেখেছি, তারা আমার ’৭১-এর পুনর্জন্ম।
নূরজাহান মুরশিদের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে উত্তরসূরি: নূরজাহান-সারোয়ার মুরশিদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে ‘নারীস্বর’-এর ‘গতি, প্রগতি ও নারীর প্রতিবাদের ভাষা’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ড. মোরশেদ শফিউল হাসান।
সভায় ড. শাহমান মৈশান তার প্রবন্ধ উপস্থাপনে বলেন, নূরজাহান মুরশিদের নারী-মুক্তির ভাবনাসূত্রগুলো পর্যালোচনা করে আমরা লক্ষ্য করি— উন্নয়ন, রাজনীতি এবং গণতন্ত্র— এ ৩টি ধারণা পরস্পর অবিচ্ছেদ্য।
যেমন তিনি বলেন : ‘উন্নয়নের মূলধারা, রাজনীতি মূলধারা এবং সর্বোপরি গণতান্ত্রিক ধারার মধ্যে যেদিন নারী স্থান করে নিতে পারবে, সেদিনই আমরা সব রকম অন্যায় ও অসাম্যের হাত থেকে মুক্তির সন্ধান পাব। নারীকে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে মূলধারার সঙ্গে যুক্ত করতে হলে সমাজের সার্বিক চিন্তাধারায় একটি পরিবর্তন আসতে হবে’।
নুরজাহান মুরশিদের লেখা থেকে পাঠ করেন নিশাত জাহান রানা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন শিক্ষার্থী ও এক্টিভিস্ট প্রাপ্তি তাপসী।
নূরজাহান মুরশিদের প্রিয় সংগীত পরিবেশন করেন মেয়ে শারমীন মুরশিদ, নাতনি নাভিন মুরশিদ ও তাহসিন ফারজানা তিলোত্তমা।
মন্তব্য করুন