ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান আর নেই। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর স্থানীয় কবি ও লেখক মহসিন খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বুধবার সকালে রায়পুরা উপজেলার নিজ গ্রাম আদিয়াবাদে জানাজা শেষে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হবে।
ড. মনিরুজ্জামান নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদে ১৯৪০ সালের ১৫ ফ্রেরুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. নাদিরুজ্জামান, মা মোসাম্মৎ ফরিদান্নেছা। পুলিশ অফিসার বাবার কর্মস্থল ব্রিটিশ ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার ঝিনাইদহে। তিনি প্রথমে নৈহাটি, পরে বরানগর, এরপর চব্বিশ পরগনা স্কুল ডায়মন্ড হারবারে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় চলে আসেন পৈতৃক নিবাস আদিয়াবাদে। সেখানে গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। এরপর ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলা সাহিত্যে ভর্তি হয়ে ১৯৬০ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন। এরপর ভারতের মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ড. মনিরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া বাংলা বিভাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি এবং কলা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন। ভাষা, সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে তার ৩৫টির মতো বই ও শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, চট্টগ্রাম একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২৩ সালে একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।
মন্তব্য করুন