সত্তর দশকের অন্যতম কবি মাকিদ হায়দার চলে গেছেন না ফেরার দেশে (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় উত্তরার নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়।
মাকিদ হায়দারের ছেলে আসিফ হায়দার কালবেলাকে বলেন, তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছিলেন। বুধবার সকালে বাসাতেই মারা যান।
দুপুর ২টায় তার মরদেহ বাংলা একাডেমিতে আনা হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ পাবনায় নেওয়া হবে। আরিফপুরের দোহারপাড়ায় পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক নূরুল হুদা জানিয়েছেন, কবি মাকিদ হায়দারের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য তার মরদেহ দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে রাখা হবে।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাবনার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও সাংস্কৃতিক পরিবারে। তার পরিবারের সদস্যরা সবাই বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
পাঁচ দশক ধরে সাহিত্যে একটানা ভূমিকা রেখেছেন মাকিদ হায়দার। তিনি নিজস্ব একটা ভাষায় কবিতা লিখেছেন, সেই ভাষা ছিল আধুনিক ও পরিমিত।
তার উল্লেখযোগ্য লেখার মধ্যে রয়েছে- ‘রোদে ভিজে বাড়ি ফেরা’ ‘আপন আঁধারে একদিন’ ‘রবীন্দ্রনাথ : নদীগুলা’ ‘বাংলাদেশের প্রেমের কবিতা’ ‘যে আমাকে দুঃখ দিলো সে যেনো আজ সুখে থাকে’ ‘কফিনের লোকটা’ ‘ও প্রার্থ ও প্রতিম’ ‘প্রিয় রোকানালী’ ‘মমুর সাথে সারা দুপুর’।
সাত ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ষষ্ঠ । তার বড় ভাই রশীদ হায়দার, জিয়া হায়দার, দাউদ হায়দার, জাহিদ হায়দার, আবিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার সবাই দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে অবদান রেখেছেন এবং রাখছেন। তাদের মধ্যে প্রয়াত দুই ভাই বরেণ্য নাট্যকার জিয়া হায়দার ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, গল্পকার রশীদ হায়দার। আরেক ভাই নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার।
মাকিদ হায়দার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন