কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, ১১:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রশিদুন্ নবী সম্পাদিত ‘নজরুল সংগীত সংগ্রহ’

রশীদুন্ নবী,  নজরুল গবেষক, ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
রশীদুন্ নবী,  নজরুল গবেষক, ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টরে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে। ড. রশিদুন্ নবীর আরেক পরিচয় তিনি দুই বাংলার মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক নজরুল সংগীতের সংকলন-গ্রন্থ 'নজরুল সংগীত সংগ্রহ'-এর সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মো. আশিকুর রহমান

কবি নজরুল সুস্থাবস্থায় গান লিখেছিলেন তিন সহস্রাধিক। গানের বই প্রকাশিত হয়েছিল ১১টা, সেখানে গান ছিল ৭১৩ টি। কবি অসুস্থ হওয়ার পর আরও কয়েকটি গানের বই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কবির পরিবারের পক্ষে কবির সাহিত্যকর্ম সঠিকভাবে সম্পাদনা সম্ভব হয়নি। নজরুলের নয় এমন গানও কোনো কোনো বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। মূলত বাজারে নজরুলের বইয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশকরা তখন এমন কাজ করেছিলেন। তবে নজরুলের সব গানের মিলিত কোনো সংকলন ছিল না।

ফলে শিল্পী, শিক্ষার্থী কিংবা গবেষকদের কাছে নজরুল সংগীতের শুদ্ধ সুর ও বাণীর সমন্বয়ে একটা সংকলনের চাহিদা ছিল দীর্ঘদিনের। অধ্যাপক রশিদুন্ নবী নীরবে এই কাজটিই করে আসছিলেন। এক সময় সংকলন করলেন নজরুল সংগীতের সবচেয়ে বড় সংকলন-নজরুল সংগীত সংগ্রহ। কবির তিন হাজারের বেশি গান লিপিবদ্ধ আছে বইটিতে।

রশিদুন্ নবী পদ্ধতিগতভাবে নজরুল সংগীতের চর্চা শুরু করেন ১৯৮০ সালে নজরুল একাডেমিতে। তখন বিভিন্ন শিক্ষকের সাথে সংগীত বিষয়ে আলাপ জুড়ে দিতেন। তবে বেশিরভাগ সময়ই তিনি তার জানার আগ্রহ অনুযায়ী উত্তর পেতেন না। পরে নজরুলকে নিয়ে লেখা বই কেনা এবং পড়া শুরু করেন। পত্রপত্রিকায়ও নজরুলকে নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। নজরুর সংগীতের প্রতি রশিদুন্ নবীর আগ্রহ, চেষ্টা, ভালোবাসা, আন্তরিকতা একাডেমি কর্তৃপক্ষেরও নজরে আসে। সে সময় একাডেমি নজরুলের যথার্থ গানের সুর ও বাণী সম্বলিত বই প্রকাশ করত কেবল আদি গ্রামোফোন অর্থাৎ নজরুলের সুস্থাবস্থায় যেসব রেকর্ড প্রকাশ হয়েছিল, সেখান থেকে। নজরুল একাডেমি এ বিষয়ক মোট ১০টি খণ্ড প্রকাশ করে। ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ খণ্ডটির স্বরলিপি প্রণয়ন করেছিলেন রশিদুন্ নবী। এটিই তাঁর প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ।

১৯৮৯ সালে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে নজরুল ইনস্টিটিউটে যোগ দেন রশিদুন্ নবী। পরে সহকারী পরিচালক হয়েছিলেন। ইনস্টিটিউটের গবেষণা এবং সংস্কৃতি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি প্রায় ২২ বছর খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক হিসেবে নজরুল একাডেমি, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও নজরুল পরিষদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

১৯৯৫ সালে প্রকাশিত আসাদুল হক প্রণীত নজরুল সংগীত স্বরলিপি গ্রন্থের নজরুল সংগীতে বাণীর ক্ষেত্রে পাঠান্তর পরিবর্তনের তুলনামূলক তালিকাটা তৈরি করেছিলেন তিনিই।

তবে তিন সহস্রাধিক নজরুল সংগীতের সংকলন প্রকাশের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ প্রাতিষ্ঠানিক মাত্রা পায় ২০০৫ সালে। তৎকালীন নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক জানতে পারেন, রশিদুন্ নবী প্রায় দেড় দশক নজরুল সংগীতের সংকলনের কাজ করছেন। তিনি রশিদুন্ নবীর সম্পাদিত পাণ্ডুলিপি দেখলেন। জানলেন বাংলাদেশে নজরুল সংগীতের সংগ্রহ নিয়ে এত বিশাল পরিসরে কখনো কাজ হয়নি। বিষয়টি ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় উপস্থাপন করেন। সেখানে এটি বই আকারে প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়। রশিদুন্ নবীর ভাষায় 'কাজটি ছিল জটিল, শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ।

তবে স্বত্ব সংক্রান্ত একটা জটিলতা ছিল। নজরুল জীবদ্দশায় অনেক গানের স্বত্ব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়ে গিয়েছিলেন। অনেকের কাছে বাণী বা রেকর্ড থাকলেও তারা দিতে অনাগ্রহী ছিলেন। অনেকে আবার উচ্চমূল্যের বিনিময়ে বা শর্ত জুড়ে দিয়ে ছাড়তে রাজি হয়।

অবশেষে ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে এই সংকলন প্রকাশিত হয়। বইটির প্রথম মুদ্রণে ৩১৬৩টি গান ও ৩০৭৯টি গানের বাণী দেওয়া সম্ভব হলেও অবশিষ্ট ৮৪টি গান উদ্ধার বা সংগৃহীত না হওয়ায় সেগুলোর বাণী দেওয়া সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ সংস্করণে গান রয়েছে ৩১৭৪টি! এত অধিকসংখ্যক নজরুল সংগীতের বাণী সম্বলিত সংকলন এর আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি।

নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত আদি রেকর্ডভিত্তিক নজরুল সংগীতের বাণী সংকলন গ্রন্থের এক হাজার গানের বাণীও বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নজরুল সংগীতের আদি গ্রামোফোন রেকর্ডের এক বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে নজরুল ইনস্টিটিউটে। এসব রেকর্ডের গান শুনে সেগুলির বাণী অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ সম্পর্কে রশিদুন্ নবী বলেন, অনেক গ্রামোফোন। রেকর্ডের বাণী খুবই অস্পষ্ট, ঠিকমতো বোঝা যায় না। যেগুলো বোঝা যায়, সে গানগুলোর ভুল সংশোধন করা হয়েছে।

এ ছাড়াও ভারতের প্রখ্যাত নজরুল সংগীত বিশেষজ্ঞ ড. ব্রহ্মমোহন ঠাকুর লিখিতভাবে তার সংগ্রহে থাকা নজরুল সংগীতের আদি রেকর্ডের গানগুলো নজরুল ইনস্টিটিউটকে প্রদানের জন্য লিখিত প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার প্রস্তাব এবং নজরুল ইনস্টিটিউটের আগ্রহে ১৯৯৮ সালে সুধীন দাশ ও রশিদুন্ নবী কলকাতা যান। বাংলাদেশে সঠিকভাবে নজরুল সংগীতের চর্চা হচ্ছে। কিন্তু কলকাতায় তেমন কিছুই হচ্ছে না, বরং অবস্থা খুবই করুণ এমন আক্ষেপ করে ড. ঠাকুর প্রায় দেড় হাজার গান বিনামূল্যে হস্তান্তর করেন। এগুলোও এই সংকলনে স্থান পেয়েছে। কবির প্রায় ৪০০ লেটো গান এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এগুলোর শীর্ষভাগ গানের আগে কোনো সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে ভারতের গবেষক মুহম্মদ আয়ুব হোসেনের কাছ থেকে।

গান সংগ্রহ করতে গেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। খুব সহজেই যে যাওয়ার সাথে সাথেই গান পেয়েছেন বিষয়টা এমন না। ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত সৈয়দ আবদুর রব সম্পাদিত মুয়াজ্জিন পত্রিকায় নজরুলের একটা গান প্রকাশিত হয়েছে এমন একটা তথ্য তার কাছে ছিল। সেই নির্দিষ্ট সংখ্যাটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রশিদুন্ নবীর ভাষ্য, আমি মূলত দুটো গান খুঁজছিলাম। বাংলা একাডেমির পুরোনো সংগ্রহশালায় খুঁজেছি বেশ ক'দিন। পরে যখন সেই সংখ্যাটি পাওয়া গেল সেই সময় দেখা গেল- যে পাতায় গানটি ছিল, সেটি ছেঁড়া। আরেকটা গান পেলাম না। পত্রিকার সম্পাদকের নাতনি আবার আমার পূর্বপরিচিত। তিনি পরে দীর্ঘ সময় নিয়ে খুঁজে আমাকে একটি গানের ছবি তুলে পাঠিয়েছেন। বাকি একটা গান এখনো খুঁজছি।

এমনও হয়েছে, যার কাছে রয়েছে তিনি দিবেন, কিন্তু তার স্ত্রী-সন্তান দিতে দিবেন না বা মোটা অংকের অর্থ দাবি করে বসলেন- যে এলাকার যাতায়াত বা অবকাঠামোগত অবস্থা ভালো না। দেখা গেছে সারারাত ছাড়পোকার সাথে থেকে ক'দিন ঘুরেও পাচ্ছেন না কিছুই।

বইটিতে অন্তর্ভুক্ত কিছু গানের বাণী সংশোধনের ব্যাপারে সহযোগিতা পেয়েছেন ফিরোজা বেগম, সোহরাব হোসেন, সুধীন দাশ, আসাদুল হক, ফেরদৌসী রহমান, খালিদ হোসেনসহ নজরুল সংগীতের প্রতিথযশা সংগীতজ্ঞ ও শিল্পীদের।

সেই সময়টায় এমন হয়েছে- সকালে ঘুম থেকে উঠেই অফিসে গিয়ে কাজ শুরু। কাজ করেছেন রাত ১১টা ১২টা পর্যন্ত। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে আবার কাজ শুরু, চোখ লেগে গেছে এমন সময় তার স্ত্রী এক কাপ চা হাতে হাজির। তিনি বলছেন, চা-পান করে আবার পূর্ণ স্পৃহায় কাজ শুরু করতে। স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার কাছ থেকে সবসময়ই এমন সাপোর্ট পেয়েছেন তিনি। পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত থেকে প্রুফ দেখা পর্যন্ত সবসময়ই পাশে ছিলেন তিনি। সহযোগিতা করেছেন নানাভাবে।

প্রফেসর ড. রশিদুন্ নবী বলেন, 'নজরুল-সংগীত সংগ্রহ' বইটি বিশ্বব্যাপী নজরুল গবেষকদের, নজরুলপ্রেমীদের কাছে সমাদৃত হয়েছে এটা আমার কাছে প্রাপ্তির। নজরুল সংগীতের একটি পূর্ণাঙ্গ সংকলনের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও অনেক নজরুলপ্রেমী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অকুণ্ঠ সহযোগিতা পেয়েছি। তিন সহস্রাধিক গান একই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা সহজ ছিল না মোটেই।

এ বছর নজরুলের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের কলকাতার সংবিদ প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে রশিদুন্ নবীর 'নজরুল সংগীতের ভবনে অন্যান্য গীতিকারের গান' শিরোনামের বই। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলা গানের এক অমূল্য সম্পদ নজরুল সংগীত। দীর্ঘকাল ধরে অজ্ঞতা কিংবা অসতর্কতার কারণে নজরুল গবেষক, সম্পাদক, সংকলক ও স্বরলিপিকারদের মাধ্যমে নানা গ্রন্থে এবং বেতার-টেলিভিশনে সংগীতশিল্পীদের মাধ্যমে নজরুলের সমসাময়িক বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট গীতিকারের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গান নজরুল-সংগীত হিসেবে প্রচলিত হয়ে আসছে। অন্যান্য গীতিকার রচিত এ ধরনের প্রায় তিনশ গান চিহ্নিত করে নানা তথ্য-উপাত্তসহ আলোচনা হয়েছে এই গ্রন্থে। পাঠকের সুবিধার্থে গ্রন্থটির পরশিষ্টাংশে এ যাবৎ সংগৃহীত নজরুল-সংগীতের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা সন্নিবেশিত হয়েছে।

তার সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা চৌদ্দটি, নজরুল সংগীতের প্রামাণ্য স্বরলিপি-গ্রন্থ পাঁচটি এবং দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৮ সালে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে 'নজরুল পুরস্কার-২০১৭', ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ার নজরুল একাডেমি থেকে নজরুল-পুরস্কার-২০১৮'সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

মো. আশিকুর রহমান, নজরুল গবেষক, ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রথম দিনে উইন্ডিজ তুলল ২৫০ রান

গাঁজা-জাল নোটসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ

উইন্ডিজের প্রতিরোধ ভেঙে বাংলাদেশের স্বস্তি

টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস / ট্রাম্প ব্যবসায়ী, আমরাও একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই

২০২৪ সালের হাইয়েস্ট কালেকশন দরদের : শাকিব 

নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত

রাজনীতিতে আ.লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর

নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল

খাসজমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত

১০

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াঙ্গন অন্যতম একটি মাধ্যম : আমিনুল হক 

১১

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

১২

আহত রানার পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

১৩

ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

১৪

একদিকে প্রশান্তি, অশান্তিও বিরাজ করছে: শামা ওবায়েদ

১৫

চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

১৬

র‍্যানকন মটরসের সঙ্গে ক্র্যাক প্লাটুন চার্জিং সলুশনের চুক্তি

১৭

জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য : নয়ন

১৮

‘এক ফ্যাসিস্টকে হটিয়ে আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না’

১৯

জুলাই বিপ্লবে আহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবুকে নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

২০
X