বর্ষার শুরুতেই অপরূপা হয়ে উঠেছে যমুনা। ঈদের ছুটির এই ক্ষণিক অবসরে তাই যমুনার পাড়ে ছুটেছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঈদুল আজহার বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ ও যমুনাবক্ষে নির্মিত চারটি ক্রসবার বাঁধ হাজার হাজার পর্যটকের কলরবে মুখর হয়ে ওঠে। রাক্ষসী যমুনা পরিণত হয় বিনোদনের প্রাণকেন্দ্রে।
ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরের ৩নং ক্রসবার বাঁধ এলাকায় আসেন ব্যাংকার শহিদুল ইসলাম। তার মতে, বিনোদনের জন্য যমুনা পাড়ের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিয়াদ রহমান বলেন, সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় আগ্রাসী যমুনা এখন অপরূপা। এমনি সময়েই মানুষ এখানে আসে প্রকৃতির টানে। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতি উপভোগে এখন যমুনার পাড়ে ভিড় একটু বেশি।
স্কুলশিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, প্রত্যেক মানুষের কাজের পাশাপাশি চিত্তবিনোদনের প্রয়োজন। আর এর জন্য সিরাজগঞ্জের চারটি ক্রসবার বাঁধের মতো সুন্দর জায়গা আর হয় না।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, যমুনার ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ শহরকে রক্ষায় ১৯৯৯ সালে হার্ডপয়েন্ট নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই এটি বিনোদনের স্থানে পরিণত হয়। গত বছর হার্ডপয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে ‘মুজিব দর্শন’ নামে বঙ্গবন্ধুর বই ভাস্কর্য ও উত্তরের অংশে চলতি বছরের মে মাসে ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য। ফলে হার্ডপয়েন্ট এখন পরিপূর্ণ বিনোদনকেন্দ্র। এ ছাড়া নির্মিত চারটি ক্রসবার বাঁধও পর্যটকদের কাছে বাড়িয়ে দিয়েছে যমুনা পাড়ের আবেদন।