ওয়াহিদুর রহমান রুবেল, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪, ০২:৪২ এএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঈদের পর্যটন

হতাশ কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা

হতাশ কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা

ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহাতেও টানা পাঁচ দিনের ছুটি ছিল। তার পরও কক্সবাজারে আশানুরূপ পর্যটক আসেনি। ফলে হতাশ হয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অথচ ঈদের পরে পর্যটক বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল তাদের।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত হলেও কক্সবাজারকে পর্যটক আকৃষ্ট করতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। সুরক্ষা করা হচ্ছে না পর্যটন স্পটগুলো। সৌন্দর্য রক্ষায় গঠিত বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরাও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে কক্সবাজারবিমুখ হচ্ছে পর্যটকরা। এ অবস্থায় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারে এমন সব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।

হোটেল মালিকদের মতে, সৈকত শহরে হোটেল-মোটেল রয়েছে চার শতাধিক। এসব হোটেলে দৈনিক প্রায় সোয়া লাখ পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদের সময় হোটেলগুলোর প্রায় ৭০ ভাগ বুকিং থাকত। কিন্তু এবারে দু-একটি ছাড়া আর কোনো হোটেলে বুকিং হয়নি।

কক্সবাজারের তারকামানের হোটেল সি প্রিন্সেসের সিনিয়র অফিসার মাজেদুল বশর চৌধুরী সুজন বলেন, এবারে অন্য হোটেলের কথা বলতে পারব না, তবে আমাদের হোটেলে আগামী দু-তিন দিন শতভাগ বুকিং রয়েছে। তবুও বলব, অতীতের মতো ভালো ব্যবসা হচ্ছে না।

হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টের ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার সারোয়ার আলম বলেন, আমাদের বুকিং সন্তোষজনক। তার পরও শতভাগ বুকিং হয়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। রয়েছে বুফে লাঞ্চ ও ডিনারের ব্যবস্থাও।

ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, পর্যটকদের সেবা দিতেই মুখিয়ে থাকি আমরা। এবারও ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু এত কম পর্যটক আসবে ভাবিনি। সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব আয় করে সেভাবে পর্যটকদের জন্য বিনোদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। যার কারণে দিন দিন কক্সবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। আমি মনে করি, বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার সময় এসে গেছে।

কক্সবাজার ট্যুরস অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, আমাদের আশা ছিল কোরবানির ছুটিতে পর্যটকে ভরে যাবে কক্সবাজার; কিন্তু আমরা হতাশ হয়েছি। এত কম পর্যটক আসবে, সেটি আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।

আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, কোরবানির ঈদে পর্যটক এলে আগের লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এর পরও আশা করছি ঈদের এক-দুদিন পর পর্যটক সমাগম বাড়বে।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদারে বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটক যাই আসুক, ছুটির দিনগুলোতে কঠোর নিরাপত্তাবলয় থাকে আমাদের। ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ও ইনানীতে সচেষ্ট থাকবে টুরিস্ট পুলিশ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। ছুটির দিনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় ৯ মাস বেতন পাচ্ছেন না ৪২০ শিক্ষক

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে পোশাক কারখানা

বৃষ্টি আর কত দিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়া-লেবানন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

আরেক দেশ থেকে ইসরায়েলে হামলায় ২ সেনা নিহত, আহত ২৪

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জবির স্লোগান ‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’

শিক্ষক দিবসে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে

হত্যা মামলায় রসিকের সাবেক কাউন্সিলর মিলন গ্রেপ্তার

১০

বৈরুত বিমানবন্দরের পাশেই ইসরায়েলি তাণ্ডব

১১

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা : ড. ইউনূস

১৪

বন্যার পানিতে মায়ের লাশের সঙ্গে ভেসে এল শিশু

১৫

লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ, পিছু হঠল ইসরায়েলি বাহিনী

১৬

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজা কখন-কোথায়?

১৭

আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপি

১৮

সকালের মধ্যে দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

১৯

৫ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

২০
X