কালের স্রোতে পৃথিবী বদলে গেছে। বিলুপ্ত হয়েছে জমিদারি প্রথা। জমিদার নেই! নেই সেই শাসন ব্যবস্থাও; কিন্তু তাদের বাড়িগুলো আজও সাক্ষ্য দিচ্ছে ইতিহাসের। এমনই এক ঐতিহ্যবাহী জমিদারবাড়ি আছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে। এটি স্থানীয়দের কাছে নবাব প্যালেস বা নবাব মঞ্জিল নামে পরিচিতি। তাই এখানে পুরোনো দিনের সেই ঘ্রাণের খোঁজে ছুটে আসেন ইতিহাসপ্রেমী ও পর্যটকরা। ঈদের এই লম্বা ছুটিতে কোনো একটি দিন কাটানো যায় ঐতিহাসিক এই জমিদারবাড়িতে।
মোগল স্থাপত্যরীতিতে তৈরি এই প্রাচীন নবাব প্যালেসে আছে চারটি গম্বুজ। প্রাচীর ঘেরা প্রাসাদটি দক্ষিণমুখী। আছে দীর্ঘ বারান্দা। ভবনের পূর্বদিকে বড় একটি তোরণ।
দর্শনার্থীরা প্রাসাদের বেশ কয়েকটি কামরা ঘুরে দেখতে পারে। বারান্দায় সাজিয়ে রাখা মোগল আমলের নবাবী সামগ্রীগুলো ছোঁয়া যায়। আছে সেই আমলের মনোমুগ্ধকর আসবাব। প্যালেসটির পাশের ৩০ বিঘার বিশালাকার দিঘির শান বাঁধানো ঘাটটির কথা না বললেই নয়। ইচ্ছে করলে ভ্রমণপিপাসুরা এখানে নৌকা ভ্রমণ ও মাছ ধরতে পারেন। দর্শনার্থীদের জন্য আছে দুটি সাম্পান। নবাবি স্টাইলে পুরো প্যালেসটি দেখার জন্য আছে ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ির ব্যবস্থা। রয়েছে গারোদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ। তবে এজন্য আগেই জানাতে হবে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে। রিসোর্ট থেকে ৩০ মিনিটের দূরত্বে ঐতিহ্যবাহী মধুপুর বন। মধুপুর থেকে ৩০ মিনিট পথ পেরোলেই দেখা মেলে গারোপল্লির। এখানকার রাবার বাগান, আনারস বাগান, বাঁশবাগান বেশ দৃষ্টিনন্দন। রয়েল রিসোর্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপোর্ট ও গাইড দিয়ে অতিথিদের ঘুরিয়ে দেখায় আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো। পর্যটকদের সুবিধার্থে নিরাপত্তারক্ষী ও ওয়েটার রয়েছে এ রিসোর্টে। গাড়ি পার্কিংসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে।
মন্তব্য করুন