ইমদাদুল হক মিলনের ‘প্রিয়দর্শিনী’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘অমীমাংসিত প্রেম’ নামে একটি নাটকের শুটিংয়ে অগ্নিদগ্ধ হন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। গত ২৮ জানুয়ারির ওই ঘটনার পরই এ অভিনেত্রীর দিন কাটছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে কিছুটা থিতু হতে পেরেছেন। অন্যদিকে থেমে ছিল না সেই নাটকটির কাজ। দ্রুত শুটিং শেষ করে এটি চ্যানেল আইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন নির্মাতা আশফাকুল আলম। এরই মধ্যে প্রচার হয়েছে নাটকটি। সেখানে নেই আঁখির কোনো দৃশ্য। ১১ ফেব্রুয়ারি চ্যানেল আইয়ের ইউটিউবেও আপলোড হয়েছে।
নাটক ও আঁখির প্রসঙ্গে পরিচালক আশফাকুল আলম বলেন, ‘নাটকটির শিডিউল আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি জমা না দিলে চ্যানেলের জন্য জটিলতা তৈরি হতো। তাই আমরা দ্রুত শেষ করে এটি জমা দিই। আর নাটকে আঁখির কোনো দৃশ্যর শুটিং হয়নি। তাই অন্যদের সহযোগিতা নিয়ে এটি শেষ করা হয়।’এদিকে অভিযোগ রয়েছে, দুর্ঘটনার পর আঁখির পরিবারের সঙ্গে পরিচালকের যোগাযোগ না করার।
আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবীর বলেন, ‘আমরা জানি না কেন পরিচালক বা শুটিং স্পটের মালিক আমাদের পাশে সেভাবে এগিয়ে এলেন না। এখানে ফাইন্যান্সিয়াল নয়, মোরাল সাপোর্টটাই প্রয়োজন ছিল। তবে চ্যানেল আই ও আমাদের নাট্য সংগঠনগুলো সমর্থন দিয়ে গেছে।’
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নাটকটির পরিচালক আশফাকুল আলম বলেন, ‘নাটকটির ভিডিওগ্রাফি ও এডিটিং সবই আমাকে একাই করতে হয়েছে। জমা দেওয়ার তাড়া ছিল; যে কারণে যোগাযোগ রাখলেও ওইভাবে পাশে থাকতে পারিনি।’
এদিকে আঁখির শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। গত সপ্তাহে তাকে সাধারণ ইউনিটে আনা হয়েছে।
‘অমীমাংসিত প্রেম’ নামের নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন সজল, মৌসুমী হামিদসহ অনেক অভিনয়শিল্পী। বিস্ফোরণের দিন শুটিং স্পটে ছিলেন আঁখির স্বামী রাহাতও। সেই বিস্ফোরণে আঁখির হাত, পা, চুলসহ শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়।