এক দিনেই হিট

এক দিনেই হিট

শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন ভারতের জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এপারের মানুষের কাছেও তিনি অত্যন্ত পছন্দের। নারায়ণগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর শনিবার রাতে ঢাকা ছাড়েন। যাওয়ার আগে স্মৃতিতাড়িত হলেন তিনি। বললেন নানা কথা।

সাক্ষাৎকার—ওয়ালিউল বিশ্বাস

না জানিয়েই যেন চলে এলেন!

ঋতুপর্ণা : একদমই সময় পাইনি জানেন! এবার আসার একমাত্র কারণ নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের অনুষ্ঠানটা। তাদের ১৩০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

কমন প্রশ্ন—কেমন লাগে বাংলাদেশে এলে!

ঋতুপর্ণা : বাংলাদেশটা আমার জন্য সব সময়ের জন্য দারুণ। এখানকার গান, সিনেমা, মানুষ—সবকিছুই আমার খুব প্রিয়। বাংলাদেশ সব সময় আমার কাছে স্পেশাল।

এখানে এই যে জনপ্রিয়তা, এর কারণ বলে কী মনে করেন?

ঋতুপর্ণা : সিনেমার মাধ্যমেই আমার এখানে আসা। আমার যে পরিচিতি, তা সিনেমার জন্য। সিনেমা ছাড়া এ ভালোবাসা পেতাম না।

আপনার শুরুটা হয়েছিল জমকালো…

ঋতুপর্ণা : দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার যেন আমরা করতে পারি সেই অবকাশ তৈরি হয়েছিল ওয়াহিদ সাদিক ও শাবানার করণে, তাদের এসএস প্রডাকশনের মাধ্যমে। ‘স্বামী কেন আসামী’ ছবিটার কথা মনে পড়ে! সেসময় বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার মুখে মুখে ফিরেছে। এক দিনেই আমরা হিট। এরপর ‘সাগরিকা’, ‘রাঙা বউ’সহ আরও কত ছবি করলাম।

অনেক নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। কার কথা আলাদাভাবে বলবেন?

ঋতুপর্ণা : আমি না আসলে সবার সঙ্গেই মানিয়ে নিতে পেরেছি। এই মুহূর্তে মান্নার কথা মনে পড়ছে। আমরা হিট জুটি। ফেরদৌস ও আমি খুব ভালো বন্ধু। বেশি ছবিতে কাজ করেছি। আমিন খান, জাহিদ হাসান, ইলিয়াস জির সঙ্গে কাজ করেছি। আমার খুব ভালো লাগে যে লম্বা সময় কাজ করছি। এখনকার আরিফিন শুভ, নিরব, সাইফ—সবাই দুর্দান্ত।

এখনকার নায়কদের চেয়ে আপনি বয়সে বড়। কেমন লাগে প্রেমের অভিনয় করতে?

ঋতুপর্ণা : হা হা। তারা দারুণ অভিনেতা। আমার অভিনয়, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে একটা পজিটিভিটি তৈরি করি। ভালো সময় কাটে।

ঢাকায় এসে কারও কথা মনে পড়ছে?

ঋতুপর্ণা : মন খারাপ হলো নৃত্যপরিচালক মাসুম বাবুল ভাই চলে গেলেন জেনে। সম্প্রতি ‘গাংচিল’ ছবির কাজ করেছি উনার নৃত্য পরিচালনায়। তার সঙ্গে কত স্মৃতি! শুক্রবার স্টেজে তাকে ট্রিবিউটও করলাম।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com