কমিকস পড়ুয়াদের কাছে ‘শাজাম’ অনেক আগে থেকেই পরিচিত হলেও চলচ্চিত্র দুনিয়ায় সে নতুন। ২০১৯ সালে সুপারহিরো হিসেবে রুপালি পর্দায় তার আবির্ভাব। ‘সুপারম্যান’, ‘ব্যাটম্যান’, ‘স্পাইডারম্যান’-এর মতো এতটা পরিচিত কিংবা জনপ্রিয় না হলেও ধীরে ধীরে ডিসি ইউনিভার্সে কদর বাড়ছে তার। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, সুদিন আসছে শাজামের। সামনে আরও নতুন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে হাজির হবে এই সুপারহিরো। এমনকি ডিসি স্টুডিওর নতুন সিইও জেমস গানও এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। সম্প্রতি এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, এ সুপারহিরোকে নিয়ে অসম্মানজনক কোনো সমালোচনার প্রভাব থাকবে না ভবিষ্যতে।
২০১৯ সালে প্রথমবার সিনেমার পর্দায় এসেই তাক লাগিয়ে দেন সুপারহিরো ‘শাজাম’। এটি মুক্তির এক সপ্তাহ পরই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মার্ভেল স্টুডিও ঘোষণা দিয়েছিল দ্বিতীয় কিস্তি আসছে বলে! সম্প্রতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪ হাজার ৭১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাজামের দ্বিতীয় কিস্তি ‘শাজাম! ফিউরি অব দ্য গডস’। এখন পর্যন্ত নির্মিত দুটি কিস্তিই পরিচালনা করেছেন ডেভিড এফ স্যান্ডবার্গ। এমনকি দুটি চলচ্চিত্রেই শাজামরূপে হাজির হয়েছেন অভিনেতা জ্যাচারি লেভি। ছোটবেলার চরিত্রটি রূপায়ণ করেছেন অ্যাশার অ্যাঞ্জেল। ‘শাজাম’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আরও অভিনয় করেছেন জ্যাক ডিলান গ্রেজার, হেলেন মিরেন, রস বাটলারসহ অনেকে।
এই সুপারহিরোর রয়েছে আধ্যাত্মিক কিছু গুণ—একদিকে তিনি যেমন খুবই প্রজ্ঞাবান, আবার গ্রিক বীর অ্যাকিলিসের মতো সাহসী। দ্রুতগতিতে উড়তেও পারেন। ইংরেজি ছয়টি বর্ণমালায় লেখা হয় শাজাম। যেখানে ‘এস’ হলো রাজা সলোমনের মতো প্রজ্ঞার প্রতীক, ‘এইচ’ হলো হারকিউলিসের মতো শক্তিশালী, ‘অ্যা’ মানে গ্রিক পুরাণের অ্যাটলাসের মতো দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন, ‘জেড’ মানে জিউসের মতো ক্ষমতার অধিকারী, আবারও ‘অ্যা’ বলতে বোঝানো হয়েছে গ্রিক পুরাণের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা অ্যাকিলিসের মতো সাহসকে এবং সর্বশেষে ‘এম’ হলো রূপকথার সেই মারকারির মতো গতিসম্পন্ন।
প্রসঙ্গত, ডোয়াইন জনসন অভিনীত ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’-এ ক্যামিও
চরিত্রে হাজির হয়েছিলেন শাজাম। এ ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাকে। প্রথম ক্যামিও ছিল ১৯৪১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যাডভেঞ্চার অব ক্যাপ্টেন মার্ভেল’ চলচ্চিত্রে, যেখানে চরিত্রটি করেছিলেন নাইজেল ডি ব্রুলিয়ার।