পপসংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসন। তিনি সংগীত, নৃত্য ও ফ্যাশন জগৎসহ ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনা নিয়ে পৃথিবীর বুকে চার দশকেরও বেশি সময় রাজত্ব করেছেন। তিনি বিশ্বময় পপসংগীতকে ছড়িয়ে দিয়েছেন উন্মাদনায়। মৃত্যুর আগে সংগীতপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী সব গান। ২০০৯ সালের ২৫ জুন ৫০ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। মৃত্যুর ১৫ বছরেও তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। তাই কিংবদন্তির মৃত্যুদিবসের এই দিনে ভক্তরা শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে এখনো স্মরণ করে থাকেন।
মাইকেল ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তাকে পপসংগীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জো জ্যাকসন ও ক্যাথেরিন জ্যাকসন দম্পতির সপ্তম সন্তান মাইকেল জ্যাকসন। তার পরিবার ছিল আফ্রো-আমেরিকান।
মাইকেল জ্যাকসন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তার ভাইদের সঙ্গে ‘জ্যাকসন-৫’ মিউজিক্যাল গ্রুপে যোগ দেন। সেখান থেকে প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘ডায়ানা রোজ’ ১৯৬৯ সালে প্রকাশ হয়। এ অ্যালবামের প্রথম একক গান ‘আই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক’ ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে বিলবোর্ডের হট তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে এককভাবে মাইকেল জ্যাকসনের ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু। ১৯৭২ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘বেন’ প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৭৯ সালে পরবর্তী অ্যালবাম আসে। এ অ্যালবামের নাম ছিল ‘অব দ্য ওয়াল’। এর ‘ডোন্ট স্টপ টিল ইউ গেট এনাফ’ ও ‘রকিং উইথ ইউ’ গান দুটির মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি।
মাইকেলের বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘অব দ্য ওয়াল’, ‘থ্রিলার’, ‘ব্যাড’, ‘ডেঞ্জারাস’ এবং ‘হিস্ট্রি’। এর মধ্যে ‘থ্রিলার’ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবাম। ‘বিট ইট’ গানটি প্রচার করে শিরোনামে আসে এমটিভির নাম।
জীবদ্দশায় মাইকেল জ্যাকসন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এলভিস প্রিসলির মেয়ে লিসা মেরি প্রিসলিকে বিয়ে করেছিলেন। রক অ্যান্ড রোল কিংবদন্তি এলভিস প্রিসলির মেয়ে লিসা মেরি প্রিসলি নিজেও ছিলেন সংগীতশিল্পী ও গীতিকার।
মাইকেল তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন। এর মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসহ সর্বোচ্চ ১৪ বার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। যেখানে তার ধারে কাছে কেউ নেই।