অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। নিজের কর্মদক্ষতার প্রমাণ তিনি অনেক আগেই দিয়েছেন। কাজ করেছেন এপার বাংলা-ওপার বাংলা ও বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙে চুরমার করতে একটুও দ্বিধা বোধ করেন না তিনি। যে কোনো চরিত্রের জন্য কঠিন পরিশ্রমই তার প্রধান শক্তি। অভিনয়ের বাইরে বাঁধন পছন্দ করেন ভ্রমণ। পৃথিবী ভ্রমণে তার সঙ্গী সবসময়ই মেয়ে মিশেল আমানি। বর্তমানে তিনি আছেন ঐতিহাসিক ও আধুনিক দেশ তুরস্কে। সেখান থেকেই মোবাইল ফোনে কালবেলার সঙ্গে আলাপ হয় তার।
এবারের কথোপকথনে তিনি কোনো কর্মব্যস্ততার কথা বলেননি। শুধু ভ্রমণ নিয়েই ছিল আলোচনা। কারণ কাজ থেকে ছুটি নিয়েই তিনি সেখানে গেছেন ঘুরতে। জানালেন, দেশে এসে হবে কাজের কথা। বাঁধন বলেন, ‘ভ্রমণ সবসময়ই আমার কাছে আনন্দের। এর কারণও রয়েছে। আমি মনে করি সময় পেলেই প্রত্যেক মানুষের ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়া উচিত। সেটি দেশের বাইরে হোক অথবা দেশের ভেতরে। কারণ ভ্রমণ মানুষের চিন্তা চর্চা ও বিকাশকে আরও সমৃদ্ধ করে। নতুন নতুন স্থান সম্পর্কে ধারণা বৃদ্ধি করে। আমি মনে করি ভ্রমণ মানুষের জীবনের একটি অংশ হওয়া উচিত। আমি আগে খুব একটা ট্র্যাভেল করতাম না। তবে যখন বুঝতে পারলাম এর উপকারিতা, তখন থেকেই আমি সুযোগ পেলেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। প্রতিটি ট্যুরেই সঙ্গে আমার মেয়ে থাকে।’
বাঁধন ও তার মেয়ে দুজনই যে সময়টি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করছেন তার প্রমাণ অভিনেত্রীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গেলেই মেলে। এরই মধ্যে তুরস্কের বেশকিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছেন তারা। জেনেছেন সেখানকার কালচার সম্পর্কে। নিচ্ছেন সেখানকার খাবারের স্বাদও।
মেয়ের সঙ্গে পৃথিবী ভ্রমণ নিয়ে বাঁধন আরও বলেন, ‘আমি আগে একেবারেই ভ্রমণ করতাম না। তবে মেয়ের জন্মের পর থেকে ওকে নিয়েই আমি ঘুরতে যাই। শুধু শুটিংয়ের জন্য একা যাই। আমি মনে করি এখন থেকেই ওর ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হোক। তাই চেষ্টা করি নতুন নতুন স্থানে গিয়ে জায়গাগুলোর ইতিহাস জানার।’
বাঁধন ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিণত অভিনেত্রী। তার নতুন প্রতিটি কাজেই রয়েছে ভিন্নতা। যেগুলো দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এর জন্য এখন তাকে বেছে বেছে গল্প নির্বাচন করে কাজ করতে দেখা যায়। ২০২৩ সালে এই অভিনেত্রীর বলিউডে ও নেটফ্লিক্সে অভিষেক হয়। ‘খুফিয়া’ শিরোনামের এই ওয়েব ফিল্মে বাঁধন ‘হেনা রহমান’ চরিত্রে অভিনয় করেন, যার গোয়েন্দা নাম ‘অক্টোপাস’। পরিচালনার পাশাপাশি এর চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন বিশাল ভরদ্বাজ।