শারমিন সুলতানা সুমি। দেশের ব্যান্ড ইন্ডস্ট্রির পরিচিত একটি নাম। তার চিরকুট ব্যান্ড নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। করছেন দেশের প্রতিনিধিত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে যাত্রা শুরু গানের দলটি নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড স্করয়পিয়নসের সঙ্গেও মঞ্চ শেয়ার করেছেন। গান পরিবেশনের পাশাপাশি সুমি এর আগে সংগীত নিয়ে অতিথি শিক্ষকের দায়িত্বেও পালন করছেন। যা ছিল তার জন্য গর্বের। এমনই আরেক গর্বের সংবাদ সুমি নিজেই জানালেন।
গত বছর আন্তর্জাতিক সংগীতবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে নরওয়েতে যান শারমিন সুলতানা সুমি। নিশীথ সূর্যের দেশটির ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডগারের প্রফেসর ড্যানিয়েল নরগেডের আমন্ত্রণ পান। এবার আমন্ত্রণ পেলেন আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার স্কুল অব মিউজিক ডিপার্টমেন্টের একটি ক্লাসের অতিথি প্রভাষক হিসেবে। ওই ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের সামনে অনলাইনে আগামী ২২ মার্চ ক্লাস নিবেন তিনি। বিষয়টি কালবেলাকে সুমি নিজেই নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলা গানের সঙ্গে নিজেদের ব্যান্ড নিয়ে গত ২১ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছি। প্রায় ১১ বছর ধরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই এবার কথা বলব। এর আগে নরওয়ের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ হয়েছিল। তবে এবার আমেরিকায় যাওয়া হবে না। জুমের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। এই কাজের অনুভূতি আমাকে গর্বিত করে। নিজের দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে কথা বলাটা সবসময় আমার কাছে শান্তির, সম্মানের ও গর্বের।’
বর্তমানে কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে ব্যান্ড চিরকুট। ঈদের পর তাদের ব্যস্ততা আরও বাড়বে বলেও জানান সুমি। চলছে তাদের নতুন অ্যালবামের কাজও। ২০১০ সালে নিজেদের প্রথম অ্যালবাম ‘চিরকুটনামা’ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে চিরকুট। এরপর তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘যাদুর শহর’ প্রকাশ হয় ২০১৩ সালে। নিজেদের গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেও প্রশংসা কুড়িয়েছে দলটি। সে তালিকায় আছে ‘ডুব’ সিনেমার ‘আহা জীবন’, ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার ‘না জানি দুনিয়া’, ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার ‘এ শহরের কাকটাও জেনে গেছে’ ইত্যাদি। দেশে-বিদেশে নিয়মিত স্টেজ পারফর্ম করেও পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। চিরকুট ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ শারমিন সুলতানা সুমি, পাভেল আরিন, দিব্য নাসের, আরাফ, জাহিদ নীরব ও রায়হান ইসলাম শুভ্র।