সংগীতশিল্পী ও গীতিকার জি এম আশরাফ। এবারের ঈদে শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমায় ‘নিঃশ্বাস’ গানে কণ্ঠ দিয়ে চলে এসেছেন আলোচনায়। জয় করেছেন শ্রোতাদের হৃদয়। গানের পেছনের গল্প ও মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত এই সিনেমায় কাজের সুযোগ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। লিখেছেন, মহিউদ্দীন মাহি।
‘নিঃশ্বাস’ নিয়ে দর্শকের এমন ভালোবাসা নিয়ে কী বলতে চান...
বলার মতো কোনো ভাষা আমার কাছে নেই। আমি শুধু দর্শকের এই ভালোবাসা উপভোগ করছি। কারণ এর আগে আমার বেশ কয়েকটি গান ইউটিউবে অসম্ভব সফলতা পেয়েছে। যার মধ্যে ‘মাফ কইরা দেন ভাই’ এবং ‘টাকলা’ উল্লিখিত। কিন্তু ‘নিঃশ্বাস’ গানটি আমাকে শ্রোতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দিয়েছে। তাদের এমন ভালোবাসা এর আগে আমি পাইনি।
গানটি প্রকাশের পর জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে?
পরিবর্তন বলতে, নামের পাশাপাশি আমার চেহারায়ও চিন্তে শুরু করেছে সবাই। বেড়েছে ব্যস্ততা। অনেকে জানতে চাচ্ছে গানটি তৈরির পেছনের গল্প। মজার বিষয় হচ্ছে যার সঙ্গে দেখা হচ্ছে, সেই খালি গলায় গানটি শুনতে চায়, যা আমাকে ভীষণ আনন্দ দিচ্ছে। জীবনে এই পরিবর্তন এসেছে।
গানটির কণ্ঠ, সুরের পাশাপাশি লিখেছেনও আপনি। কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে?
দুটি বিষয়ই আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে। তবে হলে সিনেমা দেখার পর দর্শক এবং পরিচিত যারা আছেন, তারা সবাই আমার লেখার প্রশংসা বেশি করছেন। এটা আমাকে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে। এক কথায় আমি পুরো প্রজেক্ট নিয়েই খুশি।
আপনি লুকিয়ে গান করতেন। এখন কি প্রকাশ্যে গান করার অনুমতি আছে?
আমার লুকিয়ে গান করার পেছনে তেমন বড় কোনো কারণ ছিল না। আমার পরিবারে মিডিয়ার কেউ নেই। যার কারণে আমি আম্মাকে না জানিয়ে প্রায় চার বছর লুকিয়ে গান করি। এরপর আম্মা একদিন জানতে পারেন আমার নামে কেউ একজন গান করছে। তখনো তিনি জানেন না, এটা যে আমি। তারপর জানতে পেরে খুশি হন তিনি। সেই মুহূর্তটি আমার জন্য অসম্ভব আনন্দের ছিল। এরপর থেকে আর লুকিয়ে গান করতে হয়নি।
গানটি নিয়ে শাকিব খানের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
সিনেমাটি মুক্তির পর তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। তবে শুনেছি তিনি পছন্দ করার পরই ‘নিঃশ্বাস’ সিনেমায় জায়গা পায়। এ ছাড়া হৃদয় ভাইকে নাকি তিনি বলেছেন, গানটি তার ভালো লেগেছে।
নাটকের পর বড় পর্দায়ও গান করা হয়ে গেল আপনার। পরবর্তী সময়ে কী ধরনের গান করতে চান?
আমি ড্রামা ধাঁচের গল্পে নির্মিত সিনেমায় গান করতে চাই, এবং একজন শিল্পীর চাওয়ার কোনো শেষ থাকতে নেই, যা আমারও নেই। তাই সামনে ভালো ভালো গান করাই এখন আমার প্রধান লক্ষ্য। কারণ দায়িত্ব বেড়ে গেছে।
আপনি প্রচার বিমুখ একজন মানুষ। নিজেকে এভাবেই কি রাখতে চান...
আমি চাই আমার গান ছড়িয়ে যাবে, আর আমি একটু আড়ালে থাকি। তারপরও এবার সবাই যেভাবে ভালোবাসা দিয়েছেন, তা আমি উপভোগ করেছি। শ্রোতাদের এমন ভালোবাসা নিয়েই থাকতে চাই।
মন্তব্য করুন