নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। প্রথমবারের মতো নির্মাণ করেছেন বড় পর্দার জন্য সিনেমা। নাম ‘বরবাদ’, শাকিব খান অভিনীত এই সিনেমাটি এরই মধ্যে বরবাদ করে দিয়েছে দর্শকের হৃদয়। এটি নির্মাণের গল্প ও শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তার কথা হয়েছে কালবেলার সঙ্গে। লিখেছেন— তামজিদ হোসেন
মুক্তি পেয়েছে আপনার প্রথম সিনেমা ‘বরবাদ’। দর্শক ভালোবাসায় কতটা মুগ্ধ হলেন...
এখানে মুগ্ধ না হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের এমন ভালোবাসা আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। সামনে এর চেয়েও ভালো করার আগ্রহ বাড়িয়েছে। তাই দর্শকই আমার এবং যে কোনো সিনেমার প্রধান শক্তি। তাদের ভালো লাগলেই পরিশ্রম ভুলে তৃপ্তি পেয়ে থাকি আমরা।
আপনি এর আগে নাটক নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া ওয়েব ফিল্মও করেছেন। সিনেমা বানানোর ইচ্ছা জন্ম হলো কীভাবে?
প্রথম কথা হচ্ছে, প্রত্যেক পরিচালকেরই স্বপ্ন থাকে বড় পর্দায় কাজ করার। এরপর আমাকে মিশা ভাই একদিন বলেন যে, তুমি তো সিনেমা করতে পারো। তোমার কাজের ধরন বড় পর্দার মতো। সে সময় তার কথাটি আমাকে ভাবায়। সিদ্ধান্ত নিই সিনেমা তৈরির, কাজ শুরু করি গল্পের। তারপর গল্প অনুযায়ী প্রযোজকের সঙ্গে মিটিং হয়, বাজেট হয়। সবকিছু নিয়ে মাঠে নামি আমি। এরপর সবার সহযোগিতায় তৈরি হয় ‘বরবাদ’।
সিনেমাটি নির্মাণে ১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা আপনাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। এত বড় বাজেট নিয়ে কাজে তো লভ্যাংশ ওঠার একটা চ্যালেঞ্জ থাকে—এ বিষয়টি আপনাকে কতটুকু চিন্তিত করেছিল?
চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই ছিল। কারণ এটি বড় বাজেট। এ ছাড়া এত বড় বাজেটে সিনেমা নির্মাণ করে থিয়েটার থেকে লভ্যাংশ তোলার জন্য সেই পরিমাণ সিনেমা হলও তো আমাদের নেই। তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে এত বাজেট দিয়ে সিনেমা নির্মাণ করে কি পয়সা উঠবে কি না? তবে এসব বিষয় গবেষণা করেই আমি সিনেমার প্রযোজককে বলি, গল্পে আমার এমন বাজেটই লাগবে। আর বানালে এই বাজেটেই আমি সিনেমা বানাব। তারপর একটু সময় নিয়ে আমার প্রযোজক বললেন কাজ শুরু করেন, আমরা এই বাজেটেই সিনেমাটি করছি। কারণ গল্প দেখে তিনি বুঝে জান এই গল্পে খরচ হবে। আর আমরা যা দেখাতে চেয়েছি, তা এর আগে কেউ দেখায়নি। তাই খরচ বেশি নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। তাই প্রেশার ছাড়াই আমি কাজটি সম্পন্ন করি। এরপর ঈদের দিন সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকের যে চাহিদা ও ভালোবাসা তাতেই আমাদের চাওয়া পূরণ হয়ে গেছে। এখন সামনে বাকি দিন তো পরেই আছে। এখন বরবাদ কোথায় যেয়ে যে থামবে, তা আমরা কেউ জানি না।
সিনেমাটি নিয়ে আপনি ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশের স্বপ্ন দেখছেন। এটি কি সম্ভব?
স্বপ্ন ছাড়া মানুষ হয় না। সে জায়গা থেকে আমরা বরবাদ নিয়ে ১০০ কোটির ক্লাবে যেতে চাই। যদি না হয় তাতে কোনো সমস্যা নেই, যা হবে আলহামদুলিল্লাহ। তবে এটা অসম্ভব নয়।
‘বরবাদ’, ‘তুফান’ বা ‘প্রিয়তমা’ কে ছাড়িয়ে যাবে?
আমি চাই ছাড়িয়ে যাক। কারণ আমি চাই শুধু একটি সিনেমা নয়, আমাদের গোটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে যাক। সেই চাওয়া থেকে, রাফীর পরিচালনায় সামনে শাকিব খানের যে ‘তাণ্ডব’ আসছে সেটি আবার ‘বরবাদ’-কে ছাড়িয়ে যাক। তাহলে কী হবে, একটার পর একটা সিনেমা এগিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিও গতিময় হবে।
‘বরবাদ ২’ আসবে?
আসবে কি না জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, হুটহাট আমার কোনো কাজ আসবে না। এরপর যেই সিনেমা আসবে সেটি প্ল্যান করে আরও বড় করে আসবে।
আপনার চোখে শাকিব খান...
এক কথায় অসাধারণ একজন মানুষ।
মন্তব্য করুন