একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা, নাট্যকার, পরিচালক আবুল হায়াত ও তার স্ত্রী শিরিন হায়াত। এই দম্পতির দুই কন্যা। একজন অভিনেত্রী ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত। অন্যদিকে নাতাশা হায়াত একসময় অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও এখন তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। তাদের এখন আর চাইলেও একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না। কারণ সবার ব্যস্ততা।
বিপাশা হায়াত দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। কয়েক মাস আগে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। এবার বাবার বই প্রকাশ এবং মায়ের জন্মদিন সামনে রেখে আবারও ঢাকায় এসেছেন। উপস্থিত ছিলেন বাবার বই প্রকাশনা উৎসবেও।
মেয়েদের কাছে পেয়ে আবুল হায়াত বলেন, ‘সন্তানরা চোখের সামনে থাকলে বুকের ভেতর কী যে প্রশান্তি কাজ করে, তা একমাত্র বাবা-মা অনুভব করতে পারেন। জীবনের প্রয়োজনে সন্তানরা নিজ নিজ সংসারে, কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তার পরও মাঝেমধ্যে মন ভীষণ চায় নিয়ম ভেঙে তারা আমাদের ছায়াতলে এসে থাকুক, আমাদের সময় দিক, আমরা আরও একটু ভালো থাকি তাদের মুখ দেখলে, তাদের হাসি দেখলে, তাদের সঙ্গ পেলে। জীবন তো এক অনিশ্চিত গন্তব্যের যাত্রা। কখন যে এই পথচলা থেমে যায়, তা কেউ আগে থেকে বলতে পারে না। তাই মনটা এ সময়ে এসে মাঝেমধ্যে ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু তার পরও দোয়া করি ওরা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক। ওরা সুখে থাকলেই পিতা হিসেবে আমি শান্তিতে থাকব, ভালো থাকব। বিপাশা, নাতাশা ওদের মায়ের জন্মদিনকে এবার আরও বেশি আনন্দময় করে তুলেছে, ওদের মায়ের মুখের প্রাণবন্ত হাসি দেখে ভালো লেগেছে আমার। আমার পরিবারের সবার সবসময় সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।’
আবুল হায়াতের আত্মজীবনীমূলক বই ‘রবির পথ’ এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। গত ২ নভেম্বর এক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বইটি প্রকাশিত হয়।