চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিত বড় পর্দায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এক সময়ের সিনেমার এ ব্যস্ত তারকাকে বর্তমানে চলচ্চিত্রে কম দেখা যায়। হাল সময়ে তিনি ব্যস্ত আছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফটোশুট ও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে। তবে এত ব্যস্ততার মধ্যেও অপু মিস করেন এফডিসির শুরুর দিকের সময়। তাই তো কালবেলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি ফিরে গেলেন পুরোনো সময়ে।
‘কাল সকালে’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক অপুর। এতে তিনি অভিনয় করেন ‘বাসন্তী’ চরিত্রে। খ্যাতিমান নির্মাতা আমজাদ হোসেনের এ সিনেমা দিয়ে তিনি জানান দেন দীর্ঘ সময়ের জন্যই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৭ সাল থেকে সিনেমায় ব্যস্ততা বাড়তে থাকে অপুর। যার কারণে এফডিসির প্রতি এ নায়িকার আলাদা ভালোলাগা রয়েছে। এবার সেই এফডিসি নিয়ে জানালেন নিজের মনের কষ্টের কথা।
কালবেলাকে অপু বলেন, ‘আমরা যারা অভিনয় করি, সবার জন্য এফডিসি হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান। বিশেষ করে এ জায়গা থেকেই আমার জন্ম; কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে জায়গাটি আর আগের মতো নেই। এখন এটি হয়ে গেছে ব্যক্তি রেষারেষির জায়গা। তাই ২০১৬ সালের পর থেকে সেভাবে আর যাওয়া হয় না। এর কারণ সেখানে আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা করে, আমার জীবন বিষাদময় করে তোলে, যা নিয়ে আমি খুবই ব্যথিত হই। এরপর আর সেখানে যেতে ইচ্ছা করেনি। আমাকে নিয়ে যে আলোচনা, তা এখনো চলমান। তাই দেশের সিনেমার এ আঁতুরঘরের এমন পরিণতি আমাকে সবসময়ই ব্যথিত করে। কারণ এখান থেকেই আমার অভিনয় জীবনের শুরু। আমি এ জায়গাটির প্রতিটি কোনা চিনি। কিন্তু সেই জায়গায় এখন সিনেমার চেয়ে মানুষের ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। তাই আগের মতো আর সেখানে যাওয়া হয় না।’ এ সময় অপু আরও জানান, এটি একটি শিল্পচর্চার স্থান। এখান থেকে দেশের অভিনয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। তাই এ জায়গাটি সুন্দর হওয়া জরুরি।
এদিকে প্রযোজক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন অপু বিশ্বাস। ভবিষ্যতে পরিচালক হিসেবে তাকে দেখা যাবে কি না—জবাবে নায়িকা জানান, নির্মাতা পরিচয়ে কখনোই নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছা নেই তার। অপু বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী। আমার প্রথম পরিচয় এটাই। আজকে দেশ ও দেশের বাইরে আমার যত ভক্ত রয়েছেন, সবাই আমাকে এ পরিচয়েই চেনেন। তাই নির্মাতা হওয়ার স্বপ্ন আমি কখনো দেখি না। কারণ এটি খুবই দায়িত্বশীল একটি কাজ। তাই শুধু অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই।’
অপু বিশ্বাস অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ছায়াবৃক্ষ’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন অভিনেতা নিরব হোসেন। পরিচালনায় ছিলেন বন্ধন বিশ্বাস। বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের এ সিনেমায় চা শ্রমিকদের জীবন সংগ্রামের গল্প তুলে ধরা হয়।