রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প থেকে বাংলাদেশে অনেক নাটক টেলিফিল্ম হলেও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র খুব বেশি হয়নি। ‘শাস্তি’ ও ‘সুভা’ ছোটগল্প থেকে চাষী নজরুল ইসলাম নির্মাণ করেছেন দুটি চলচ্চিত্র। ‘কাবুলিওয়ালা’ ছোটগল্প থেকে কাজী হায়াৎ নির্মাণ করেছেন একটি এবং ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্প অবলম্বনে ‘অবুঝ বউ’ নির্মাণ করেছেন নারগিস আক্তার।
এবার ‘হৈমন্তী’ ছোটগল্প অবলম্বনে ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ নির্মাণ করলেন মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন। এই চলচ্চিত্রের সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। এটি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ জুলাই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমন্তী’ ছোটগল্পটি দীর্ঘসময় ধরে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত থাকায় দেশের অনেকেই এই গল্প সম্পর্কে জানেন। এই গল্পে যেমন উঠে এসেছে যৌতুক প্রথার ভয়াবহ রূপ, একজন নবীন গৃহবধূর নিষ্ঠুর-নির্মম মানসিক যন্ত্রণার উপাখ্যান। আরও উঠে আসে পরিণত বয়সের স্বামী-স্ত্রীর যাপিত জীবনের কামনা-বাসনা প্রেম রোমাঞ্চের অনবদ্য কিছু মুহূর্ত।
শত বছর আগের এই গল্পের পোশাক-পরিচ্ছদ ও পরিবেশ তৈরি করে এই চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন বেশ জটিল ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সবকিছুই নির্মাতাকে অত্যন্ত দক্ষতা ও সতর্কতার সঙ্গে আয়োজন করতে হয়েছে। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রটি লাভ করেছে আনকাট সেন্সর সনদপত্র।
এই চলচ্চিত্রের নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন নবাগত চিত্রনায়িকা ঐশিকা ঐশি। অপু চরিত্র করেছেন চিত্রনায়ক সাইফ খান। অন্যান্য চরিত্র রূপায়ণ করেছেন ঝুনা চৌধুরী, রাশেদা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী, মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন, মুনা আক্তার, অরূপ কুণ্ডু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, আনিছুর রহমান, শিশুশিল্পী সিমন্তিনী চৌধুরী প্রমুখ।
চলচ্চিত্রে সংযুক্ত কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. অণিমা রায়, মামুন জাহিদ, শিমু দে ও জয়ন্ত আচার্য্য। সংগীতায়োজন করেছেন দীনবন্ধু দাশ, আবহসংগীত করেছেন অমিত চ্যাটার্জি।
নির্মাতা মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন ইতোপূর্বে নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হরিজন, ভাঙন, একজন মহান পিতা, অপুর বসন্তসহ জীবনমুখী কিছু চলচ্চিত্র।