ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে ‘তুফান’ সিনেমা। আর এই সিনেমার ‘দুষ্টু কোকিল’ শিরোনামে গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। গানটির কারিগর কলকাতার আকাশ সেন। এর সুর, কথা ও সংগীত করেছেন তিনি। গানটিতে কনার পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েছেন আকাশ নিজেও।
গানের পেছনের গল্প জানতে চাইলে কালবেলাকে আকাশ বলেন, কোকিলের ডাক সব থেকে পাওয়ারফুল, সে আমার জন্য সব থেকে পারফেক্ট । স্বয়ম্ভর বানানোর মতো আরকি। মানে আগের দিনে যেরকম হতো। কোকিলের ডাক মানে প্রেম নিবেদন। বস প্লিজ লাভ মি। কোকিলের ওই প্রেম নিবেদনের চক্করে মাঝে মাঝে আমাদের ঘুমের বারোটা বেজে যায়। তিনি বলছিলেন, আমার বাড়ির পাশেই দুটি আমগাছ আছে। ওই গাছে কোকিলের বাসা রয়েছে। সিজন এলে ওরা যখন ডাক শুরু করে, তখন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে। মাঝেমধ্যে ঘুম ভেঙে যায়। তখনই কথা প্রসঙ্গে এসেছে, কোকিলগুলো নেহাত দুষ্টু হয়েছে। সেখান থেকেই দুষ্টু কোকিলের এই কনসেপ্ট।
কতজনের মনে বসবাস করছেন আকাশ? জবাবে এই শিল্পী বলেন, আমি কতজনের মনে বসবাস করছি তা জানি না, তবে আমার গানটা অনেকের মনে বসবাস করছে। আমার একলা ঘরে বসে বানানো দুষ্টু কোকিল লক্ষ-কোটি শ্রোতার ঘরে চলে গেছে। তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, তারা এনজয় করছে, পজিটিভ বার্তাবরণ শুরু হয়েছে, ফিল্মে বা তাদের মনে সেটাই আমার ভালোবাসা বা কোকিলদের দোয়া।
তুফানে কীভাবে এলো ‘দুষ্টু কোকিল’? আকাশ বলেন, ভারতের এক সিনেমা নির্মাতা এই গানটার জন্য পাগল ছিলেন। এই গানটা তুফানে যাওয়ার মাঝেও একদিন আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। গানটা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে তখন এই সিনেমায় গানটা লক হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে না করে দিই। নির্মাতা যে সিনেমার জন্য গানটি নিতে চেয়েছিলেন, সেই ছবির প্রযোজকও আমাকে কল দিয়ে প্রশংসা করেছিলেন যখন গানটি মুক্তি পেল।
শুটিং সেটের অভিজ্ঞতা নিয়ে জনপ্রিয় এই শিল্পী ও সংগীত পরিচালক বলেন, আমি যখন দুষ্টু কোকিলের সেটে যাই, তখন দেখি অন্য এক ছেলে সকাল ৭টা থেকে মেকআপ নিয়ে বসে ছিল। আমি তো জানতামই না কী হতে যাচ্ছে, নির্মাতা রাফী (রায়হান রাফী) শুধু আমাকে ফ্লোরে ডাকলেন। রাফী ও আমি বসে মনিটরে শুটিং দেখছি, ওই সময়ে এই অভিনেতা আসে। তখন রাফীর ছেলেটিকে পছন্দ হয়নি। এরপর একটি ছেলে আসে। মেকআপ নিয়ে রেডি হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই শুটিং শেষ হয়। পরে মানব (অভিনেতা মানব সচদেব) আমাকে কল করে অনেক ধন্যবাদ জানায়। তখন আমি তাকে বলি, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালোবাসতে জানে। তুমি সেই ভালোবাসা নিয়েই অনেক ওপরে উঠবে।