ডা. মুশতাক হোসেন
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ডা. মুশতাক হোসেনের সাক্ষাৎকার

নিশ্চিতভাবে বলা যায় মহামারি

ডা. মুশতাক হোসেন। ছবি: সৌজন্য
ডা. মুশতাক হোসেন। ছবি: সৌজন্য

ডা. মুশতাক হোসেন

ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) অন্যতম পরামর্শক। এর আগে এ প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা সামাজিকবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। ডেঙ্গুর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা

কালবেলা: বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন?

ডা. মুশতাক হোসেন: বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তির দিকে। গত বছর মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ছিল। স্বাভাবিকের তুলনায় ডেঙ্গু রোগী যদি হঠাৎ করে বেড়ে যায়, তখন সংক্রমণ বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন হলে তাকে আমরা প্রাদুর্ভাব বলি। আর অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাকে আমরা মহামারি বলি। নিশ্চিতভাবে এটা মহামারি বলা যায়।

কালবেলা: করণীয় কী?

ডা. মুশতাক হোসেন: জরুরি ভিত্তিতে দুটি কাজ করতে হবে। যেসব জায়গায় ডেঙ্গু হচ্ছে সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। যেখানে জ্বরের রোগীরা এসে টেস্ট করাতে পারবে। সরকার বিনা পয়সায় তাদের টেস্ট করাবে। তিনটি টেস্ট করতে হচ্ছে একসঙ্গে। একেকটা ৫০ টাকা করে হলেও ১৫০ টাকা ব্যয় করতে হয়। এটি জনগণের ওপর চাপ হতে পারে। টেস্ট করার পর যেসব রোগীর অবস্থা খুব খারাপ নয়, মোটামুটি মৃদু লক্ষণের রোগী, তারা যেন মশারির নিচে থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

যাদের সক্ষমতা আছে, তারা বাসায় মশারির নিচে থাকবে আর যাদের সক্ষমতা নেই তারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যাবে। গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকে থাকার ব্যবস্থা না থাকলেও উপজেলা হাসপাতালে আছে। শহরে সেরকম ব্যবস্থা নেই। যারা বাসায় থাকতে পারবে না, তাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাদের ডেঙ্গুর লক্ষণ রয়েছে, বাচ্চা বা গর্ভবতী নারী, বয়স বেশি, দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য রোগে ভুগছেন, তাদের অবজারভেশনের জন্য হাসপাতালে রাখতে হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল না হয়ে যদি এটা অন্য কোনো হাসপাতাল হয় যেমন—সিটি করপোরেশন হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল হলেও চলবে। এতে তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে। অবস্থা গুরুতর হলে তাদের সরাসরি মেডিকেল কলেজে পাঠাতে হবে।

যাদের অবস্থা আরও খারাপ, তারা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবে। স্তরভিত্তিক চিকিৎসা দিলে একদিকে হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে, অন্যদিকে আমরা রোগীকে মশারির নিচে রাখতে পারছি। আরেকটি বিষয় হলো, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করা দরকার। এতে অনেক মানুষ প্রয়োজন হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১১ জন মানুষ। এটা কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। প্রতি পাড়ায় স্বেচ্ছাসেবকসহ কাজ করতে হবে। তাদের কাজ হবে রোগী খুঁজে বের করা। রোগীদের খুঁজে বের করে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাবে। কোথায় পানি জমতে পারে সেটিও তারা স্থানীয় মানুষদের সাহায্য নিয়ে খুঁজে বের করবে। যেখানে পানি পরিষ্কার করা যায় না, সেখানে তারা কীটনাশক প্রয়োগ করবে। পানি পরিষ্কার না করে কীটনাশক প্রয়োগ করলে তা ফলপ্রসূ হবে না। আগে পরিষ্কার তারপর কীটনাশক। ম্যালেরিয়া নির্মূলের জন্য ৬০-এর দশকে ম্যালেরিয়া ইনস্টিটিউট তৈরি হয়েছিল, যা পরে আইইডিসিআর-এ রূপান্তরিত হয়। মশা যেন না ছড়ায় সে ব্যবস্থা নেবেন জনস্বাস্থ্য কীটতত্ত্ববিদরা। টানা পাঁচ বছর এ কাজগুলো করতে হবে, তাহলে কলকাতা শহরের মতো আমাদের শহরগুলো ডেঙ্গুমুক্ত হবে। গ্রামগুলোকেও ধীরে ধীরে এডিস মশা মুক্ত করতে হবে।

কালবেলা: ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া উচিত?

ডা. মুশতাক হোসেন: প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রয়োজন। এখানে বিনামূল্যে রোগীদের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু শনাক্ত হবেন; কিন্তু ‘বিপদের চিহ্ন’ নেই তাদের সরাসরি বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া যাবে না। যদি তারা বাড়ি গিয়ে মশারির নিচে থাকার ব্যবস্থা করতে পারবে, তাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরদারি নিশ্চিত করেই কেবল বাড়ি পাঠানো যেতে পারে। বাকিদের প্রাথমিক বা মাধ্যমিক হাসপাতালে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাদের অবজারভেশনে রাখতে হবে, তারা হলো ঝুঁকিপূর্ণ বয়সী জনগোষ্ঠী। তাদের জন্য উপজেলা হাসপাতাল বা জেলা হাসপাতালে নিতে হবে। রোগীদের ভেতরে যাদের অবস্থা বেশি খারাপ এবং রক্তক্ষরণের আশঙ্কা আছে তাদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগীরা মেডিকেল কলেজে ভিড় করলে সুষ্ঠু চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তিনস্তরে রোগী ব্যবস্থাপনা করলে আমরা লাভবান হব।

কালবেলা: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি?

ডা. মুশতাক হোসেন: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এককভাবে ও বিচ্ছিন্নভাবে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ব্যাপক এ কাজের জন্য সরকারকে জরুরি পরিস্থিতি ধরে নিয়ে কাজ করতে হবে। মহামারি মোকাবিলার জন্য আরও ওপরের সমন্বয় দরকার হয়। কাজেই এখানে আন্তঃমন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স, ক্যাবিনেট ডিভিশনের অধীনে বিশেষ সেল গঠন করতে হবে। প্রয়োজনে একজন সিনিয়র মন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের কাজটি করতে হবে। এখানে কৃষি মন্ত্রণালয়েরও ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে গুরুত্ব দিয়ে যদি সমন্বিত কাজ করা যায়, জরিমানাভিত্তিক পন্থা না নিয়ে জনগণের জন্য সাপোর্টভিত্তিক কাজ শুরু করা যায় তাহলে আগামী দুই-এক মাসে যে ধাক্কা আসবে, তা ঠেকানো যাবে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটা অনেকটা গতানুগতিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এটা হয়তো সাময়িক একটা রোগ, কিছুদিন পরেই চলে যাবে। ফলে কার্যকর বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো ব্যবস্থা কোথাও নেওয়া হচ্ছে না। ফলে ডেঙ্গু রোগটা একেবারে জাঁকিয়ে বসেছে। যে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। এটা যে একটা মহামারি, সেরকম করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

কালবেলা: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি কী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়?

ডা. মুশতাক হোসেন: প্রথমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আলাদা সেল গঠন করতে হবে। এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এরকম একটি সেল গঠনের কথা বলা হয়েছিল; কিন্তু এর পরে আর এগোনো হয়নি। এর আগে ম্যালেরিয়া ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল ষাটের দশকে। আমাদের এই অঞ্চলে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমল থেকে ছিল। পাকিস্তান আমলে ম্যালেরিয়া ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে ছিল এবং ভারতের দিল্লিতে ছিল। যে মন্ত্রণালয় বা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বেই হোক না কেন রোগীর চিকিৎসা সমন্বয় এবং মশক নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় করতে হবে। অন্ততপক্ষে পাঁচ বছর এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ করতে হবে। এভাবে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে। প্রতিবছর ডেঙ্গুর সময় আমরা ভাবি, আগামীবার আর হবে না। এবার কোনোভাবে সামাল দেই। গ্রামেও এডিশ মশা ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু ছড়িয়ে পড়েছে সেহেতু আগামী বছরও ডেঙ্গু হবে। ডেঙ্গুর চার ধরনের ভাইরাস এখানে দেখা যাচ্ছে। এক ধরনের ভাইরাস হলেও পরের বছর সেটা আটকানো যায় না। একই ধরনের (সেরোটাইপ) ভাইরাস দিয়ে বছর বছর একই মাত্রায় ডেঙ্গু মহামারি ঘটে না; কিন্তু একাধিক ধরনের ভাইরাস সক্রিয় থাকলে মহামারি একাধিক বছর সক্রিয় থাকতে পারে, ঢেউয়ের মতো ওঠানামা করতে পারে। যেমন ২০২২ থেকে এখনো চলছে। ডেঙ্গুর ১,২, ৩, ৪ ধরনের ভাইরাস ৪টায় পাওয়া যাচ্ছে এখন। এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।

কালবেলা: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত গবেষণা হয়েছে কী?

ডা. মুশতাক হোসেন: গবেষণা হচ্ছে কিন্তু যথেষ্ট না। একটা ইনস্টিটিউট যদি হয়, তাহলে সেখানে গবেষণার জন্য আলাদা করে কাজ করা যাবে। আইইডিসিআর আছে যেখানে এন্টিমোলজি বিভাগ আছে; কিন্তু সেখানে এন্টিমোলজিস্ট নেই। এমবিবিএস ডাক্তাররা সেখানে ট্রেনিং নিয়ে কাজ করছে; কিন্তু সেখানে চুক্তিভিত্তিক এন্টিমোলজিস্ট দরকার। প্রত্যেকটি ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকায় এমন এন্টিমোলজিস্ট প্রয়োজন, যারা ভলেন্টিয়ারদের দুই বা তিন দিনের ট্রেনিং দিয়ে কাজে লাগাতে পারবে। বেসরকারি যেসব এনজিও আছে, তাদের কাছে লোকবল আছে। তাদের আমরা শহরে এবং গ্রামে কাজে লাগাতে পারি। আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ছাড়া শুধু স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষে এত বড় কাজ করা দুঃসাধ্য বিষয়। সবচেয়ে বড় কথা করোনা মোকাবিলায় আমাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা আছে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সেটি কাজে লাগাতে হবে। যারা দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তাদের যথেষ্ট জনবল, অর্থ ও সরঞ্জাম দিতে হবে। তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কাজ করবে।

কালবেলা: বিশ্বের অন্যান্য দেশ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছে ডেঙ্গু?

ডা. মুশতাক হোসেন: ভারতে আমাদের মতোও একই জলবায়ু কিন্তু সেখানে ডেঙ্গুর এমন প্রকোপ নেই। তারা অনেক দিন চেষ্টা করে এই জায়গায় এসেছে। সেখানকার সিটি কাউন্সিলর থেকে শুরু করে মেয়র পর্যন্ত সব সাধারণ মানুষ একসঙ্গে কাজ করেছে। তারা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে এডিস মশা নির্মূল করবে। আমরাও ষাটের দশকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করেছি। এর আগে কালাজ্বর নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ফাইলেরিয়া নির্মূল করেছি। কাজেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশাকেও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। সমন্বিত পরিকল্পনা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় জরুরি, যারা দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তাদের যথেষ্ট অর্থ দিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। জনগণকে আলাদা করে ভাবলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। শুধু সড়কে কীটনাশক ছড়িয়ে কাজ হবে না। আমাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। কোথায় কতজন ডেঙ্গু রোগী আছে, তা বের করতে হবে। আমাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বছরে তিনবার মশার সার্ভে করে। এটা সবসময় করতে হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, মশা কীটনাশক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। সার্ভের মাধ্যমে এটি জানতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

আজকের নামাজের সময়সূচি

শহীদ আমিনুলের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ইত্তেফাকুল উলামা

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

১০

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

১১

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

১২

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

১৩

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১৪

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১৫

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১৬

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১৭

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৮

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৯

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

২০
X