এ জেড ভূঁইয়া আনাস
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বিলাসিতা নয়, এসি এখন প্রয়োজনীয় পণ্য

বিলাসিতা নয়, এসি এখন প্রয়োজনীয় পণ্য

এয়ারকন্ডিশনার বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রকে একসময় বিলাসী পণ্য হিসেবেই ধরা হতো। দামও ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগালের বাইরে। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে এটি এখন হয়ে গেছে প্রয়োজনীয় পণ্য। উচ্চবিত্তদের ঘর ছাপিয়ে এসির শীতল পরশ এখন মধ্যবিত্তদের ঘরেও লাগছে। এসি কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন অফার আর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম নির্ধারণের কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে কিনছে এসি। ২০২৩ সালে দেশে ৫ লাখ ৩০ হাজার এসি বিক্রি হয়। আর ২০২৪ সালে বিক্রি হয় সাড়ে ৬ লাখের মতো। প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ ভাগ হারে বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি এসি কেনার ক্ষেত্রে ইএমআই, সহজ কিস্তি, ফ্রি ইনস্টলেশনসহ বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। এতে গ্রাহকদের এসি কেনায় আগ্রহও বাড়ছে।

প্রতি বছর গড়ে এসির চাহিদা ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে ধরলেও নতুন চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার ইউনিট এসির। বিক্রি বৃদ্ধির এ সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের জন্য আশার সঞ্চার করেছে। তবে দেশের চাহিদাতেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশে তৈরি এসি রপ্তানিরও ভালো সম্ভাবনা দেখছে প্রতিষ্ঠানগুলো। কেউ কেউ পরীক্ষামূলকভাবে কিছু কিছু দেশে পাঠাচ্ছেও। তার জন্য সরকারি কিছু নীতিগত সুবিধার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা, যে ধরনের সুবিধা তৈরি পোশাকশিল্প পাচ্ছে।

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ব্যবসায়ী বরকত মোল্লা। সম্প্রতি তিনি গ্রামের বাড়ি এসি লাগিয়েছেন। ঈদ অফারে এসি কেনায় বাজার দরের চেয়ে ৭ হাজার টাকা কমে পেয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারাদিন ব্যবসার কাজ শেষে বাড়িতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে ঘুমানো যায় না। এজন্য বন্ধুর পরামর্শে এসি কিনেছি। দাম কম হওয়া ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় এই সাহস করেছি। এ ছাড়া এখনকার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। বাসায় কম্পিউটার-ফ্রিজ-এসি চলার পরও আমার মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।’

বরকত মোল্লা আরও বলেন, ‘তিন থেকে চার বছর আগেও আমার গ্রামে কারও বাড়িতে এসি আছে এমন শুনিনি। তবে গত দুই বছরের প্রচণ্ড গরমের কারণে এখন আমার বাড়িতেই তিন পরিবার এসি ব্যবহার করছে। অন্যরাও এসি কেনার চিন্তাভাবনা করছেন।’

শুধু বরকত মোল্লাই নন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার আশিকুর রহমানও এসি কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছোট একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অল্প বেতনে চাকরি করলেও পরিবারের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। গত মঙ্গলবার তার সঙ্গে দেখা হয় মোহাম্মদপুর এলাকার ওয়ালটন শোরুমে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোট ভাইবোন আর মাকে নিয়ে থাকি মোহাম্মদপুরের বাসায়। পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলায় বসবাস করায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়। বৃদ্ধ মা এতে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এজন্য এসি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে কোম্পানির এসিতে সুবিধা বেশি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ওই কোম্পানির এসি কিনব। এখন ঘুরে ঘুরে দেখছি।’

রাজধানীর উত্তরায় স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে বাস করেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান মজুমদার। দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাস তাদের। গত রোববার গরমে বাসায় টিকতে না পেরে রাত দেড়টা পর্যন্ত স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ছাদে কাটান তিনি। রাজধানীর বাংলামটরে ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গারের বিক্রয়কেন্দ্র থেকে সোমবার কিস্তিতে দেড় টনের একটি হায়ার ব্র্যান্ডের এসি কেনেন আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পুরো ঘর দিনেও গরম থাকে, রাতেও গরম থাকে। মেঝে পর্যন্ত গরম হয়ে যায়। এসি কেনার ইচ্ছা ছিল না। কারণ, অনেক ধারদেনায় আছি। কিন্তু বাচ্চা নিয়ে খুবই কষ্টে কাটাতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে কিনলাম।’

রাজধানীতে গরম বাড়ছে। গত বছর রেকর্ডভাঙা গরম অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে এপ্রিল থেকে। পুরো মাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গত বছরের মতো তাপমাত্রা ৭৬ বছরের মধ্যে দেখা যায়নি। এ বছরও সে রকমই তাপমাত্রা হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এক কথায় চলতি বছর এসির চাহিদা গত বছরের তুলনায় বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনারের চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এসি আর বিলাসদ্রব্য নয় বরং প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। সেই হিসেবে সব শ্রেণির মানুষই এসি কিনছে এবং ব্যবহার করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশের এসি বাজারের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রতি বছরই অসহনীয় গরম, দ্রুত বিকাশমান নগরায়ণ, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি-সংবলিত এসির সহজলভ্যতা ইত্যাদি নানান কারণে বাংলাদেশে এসির চাহিদা বাড়ছে। ২০২৪ সালে দেশে সাড়ে ৬ লাখ এসির চাহিদা ছিল। চলতি বছর দেশে এসির চাহিদা সাড়ে ৭ লাখে পৌঁছাবে বলে আমরা ধারণা করছি। সামনের বছরগুলোয় ২০ শতাংশ হারে এসির বাজার বাড়বে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছাড়ালে একটি দেশে ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম, গাড়ি, মোটরসাইকেল ইত্যাদির চাহিদা বাড়ে।

এসি বিক্রেতারা বলছেন, আয় বাড়ার পাশাপাশি তাপপ্রবাহ এসির চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজধানীতে এসির বিক্রি যেমন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, তেমনি বড় শহর ও উপজেলা শহরেও বিক্রি বাড়ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর সেলিম উল্ল্যা সেলিম কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে। আর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার স্বাভাবিক উন্নতির ফলে গ্রামাঞ্চলেও এসির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। দেশে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে এসি বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। এ সময় ক্রেতাদের হাতে সঠিক সময়ে পণ্য পৌঁছে দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হয়। ক্রেতাদের বর্ধিত চাহিদা পূরণে আমাদের সেলস এবং ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল অবিরত কাজ করছে।’

এসির বাজারের নেতৃত্বে যারা: বছর দশেক আগেও কেবল বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানেই এসির দেখা মিলত। এসিকে গণ্য করা হতো বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, বর্তমানে দেশে এসির বাজারের আকার ৭ হাজার কোটি টাকার। দেশি এসির বাজারে ওয়ালটন, যমুনা, মিনিস্টার-মাইওয়ান, ভিশন, ট্রান্সটেক উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে হাইসেন্স, জেনারেল, গ্রি, সিঙ্গার, প্যানাসনিক, দাইকিন, এলজি, স্যামসাং, শার্প, তোশিবা ও ওয়ার্লপুল। গ্রিসহ এসব বিদেশি ব্র্যান্ডের অনেকগুলো এখন বাংলাদেশের কারখানায় তৈরি হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে এসি বিক্রি। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দেশের এসির চাহিদার ৮৫ শতাংশেরও বেশি পূরণ করছে। এসি বিক্রয় সূচকে এ উল্লম্ফনের পেছনে দায়ী বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, এসির কম দাম, দক্ষ শ্রম-প্রযুক্তি ও নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব। এ ছাড়া দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আসার ফলে গ্রামীণ অঞ্চলেও ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসির ব্যবহার। সরকারের দিক থেকে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের বিষয়ে জোর দেওয়ার কারণে স্থানীয় উদ্যোক্তারা দেশীয়ভাবে এসি উৎপাদনে এগিয়ে এসেছেন, যার কারণে কমছে আমদানিনির্ভরতা। এসির দাম এখন তুলনামূলক কম হওয়ার মূল কারণ, বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়া। প্রধান সার্কিট ও কম্প্রেসর বাদ দিলে প্লাস্টিকের ফ্রেম ও কপার কেবলের মতো উপাদান দেশে তৈরি হয়। এসির ভেতরের তার স্থানীয় নির্মাতারাই সরবরাহ করেন। তবে কাঁচামাল ও সংশ্লিষ্ট কিছু পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে।

এসির বাজার একটা সময় পুরোপুরি ছিল আমদানিনির্ভর। জাপান, কোরিয়া ও তাইওয়ান থেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের এসি আমদানি করা হতো। ২০০৪ সালে প্রথম দেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইলেক্ট্রো মার্ট লিমিটেড চীনের হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারক গ্রির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আমদানি করা প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দিয়ে এসি সংযোজন শুরু করে। সে সময় বছরে এসির সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৩০ হাজার ইউনিট। ক্রমে দেশের অনেক আমদানিকারক চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে খুচরা যন্ত্রাংশ এনে দেশে সংযোজন করে এসি বাজারজাত করতে থাকে। এরই মধ্যে দেশীয় কয়েকটি কোম্পানি দেশে ইলেকট্রনিকস পণ্যের কারখানা করে। কেউ কেউ শুরুটা করেছিল রেফ্রিজারেটর দিয়ে। একসময় ওইসব কারখানায় এসি উৎপাদন ও সংযোজনের ব্যবস্থাও চালু হয়।

২০২০ সালের পর ওয়ালটন, মিনিস্টার-মাইওয়ান, যমুনা ও ভিশনের মতো দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এসি সংযোজন ও উৎপাদনে ব্যাপক বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। সরকার দেশীয় এসি প্রস্তুতকারকদের কর সুবিধা দেওয়ায় তারা বড় পরিসরে তাদের কর্মপরিকল্পনাকে ঢেলে সাজাচ্ছে। পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি তৈরির লক্ষ্যে ২০২০ সালে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন কারখানা স্থাপন করে ইলেকট্রো মার্ট। বর্তমানে এটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ৮০টিরও বেশি মডেল তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি বছর তিন লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ এসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের বার্ষিক উৎপাদন দুই লাখ ইউনিট। ভিশন ইলেকট্রনিকসের বার্ষিক প্রায় ৫০ হাজার ইউনিট এসি উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এদিকে সম্প্রতি পৃথিবীজুড়ে জনপ্রিয় কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড হাইসেন্সের এসিও বাংলাদেশে উৎপাদন করছে ফেয়ার ইলেকট্রনিকস।

ঘরের আকারভেদে এসি: এসি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া পরই পরিকল্পনা করতে হয় কত টনের এসি কেনা হবে। এই টন মানে এসির ওজন নয়। এসির ১ টন মানে ১২ হাজার বিটিইউ/ঘণ্টা, দেড় টন মানে ১৮ হাজার বিটিইউ/ঘণ্টা—এরকম করে বাড়তে থাকে। যত বেশি টন, তত বেশি ঠান্ডা করার ক্ষমতা থাকে এসির। একটি ঘর যদি ১০০ থেকে ১২০ বর্গফুট আয়তনের হয়, সেক্ষেত্রে ১ টন এসি যথেষ্ট। ১২০ থেকে ১৫০ বর্গফুট ঘরের জন্য দেড় টন এবং ১৫০ থেকে ২০০ বর্গফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য দরকার ২ টন ক্ষমতার এসি।

গুরুত্ব দিতে হবে ব্র্যান্ডের প্রতি: ঘরের যন্ত্রসঙ্গী কেনার শুরুতেই আমাদের ভাবনায় থাকে এটা যেন টেকসই হয়। সেটা নিশ্চিত করতে হলে শরণাপন্ন হতে হবে ভালো ব্র্যান্ডের। দেশি বা বিদেশি—যাই হোক না কেন, প্রাধান্য দিতে হবে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ব্র্যান্ডকেই। তাতে ব্যবহার করে যেমন আরাম পাওয়া যাবে, তেমনি পোহাতে হবে না অহেতুক ঝামেলাও। বাজারে নানা ধরনের আকর্ষণীয় এসি হয়তো নজর কাড়বে, তবে টেকসই কি না—তা যাচাই করে কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।

বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়ে: বেশিরভাগ এসির গায়েই এক ধরনের স্টিকার লাগানো থাকে। স্টিকারগুলোয় বেশ কিছু স্টার রেটিং করা থাকে। সাধারণত এই রেটিংগুলো এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত থাকে। ১ স্টার রেটিং মানে এসিটি ১ বছরে ব্যবহার করে ৮৪৩ ইউনিট। ৫ স্টার মানে এসিটি ব্যবহার করে ৫৫৪ ইউনিট। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যত বেশি স্টার, বিদ্যুৎ খরচ তত কম। তাই বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে বেশি স্টারযুক্ত এসিকেই প্রাধান্য দিতে হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করার জন্য ইনভার্টার এসি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইনভার্টার এসিতে ঘর প্রয়োজন মতো ঠান্ডা হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্প্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। এই এসির কম্প্রেসর কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে, ফলে সাধারণ এসির চেয়ে ইনভার্টার এসিতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রশাসনে আ. লীগের লোকদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে: আসাদুজ্জামান রিপন

অস্ত্র ও জাল টাকাসহ ৩ ডাকাত আটক

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত 

যারা নির্বাচন চায় না তারা গণতন্ত্রের শত্রু: মাহবুব উদ্দিন খোকন

বয়কটের গুঞ্জনের পর এবার ফাইনাল খেলতে রাজি রিয়াল

স্বাস্থ্য পরামর্শ / দৈনন্দিন কার্যকলাপে গুরুত্বপূর্ণ শিশুর মোটর দক্ষতা

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে বাবাকে খুনের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক নিহত

এক ইলিশের দাম ১৫ হাজার

১০

কোপা দেল রে ফাইনাল বয়কট করবে রিয়াল মাদ্রিদ!

১১

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কাউন্সিল শনিবার

১২

তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতে বক্তব্য দিলেন প্রধান বিচারপতি

১৩

পুলিশের গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো ছাত্রদলের দুই নেতার পাশে তারেক রহমান

১৪

‘আমি কথা বলতে চাই’─ আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে তাসনিম জারা

১৫

চাঁদাবাজদের রুখে দেওয়ার ঘোষণা ছাত্র অধিকার পরিষদের

১৬

সাবেক এপিএসের বিষয়ে মুখ খুললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

১৭

মাদ্রাসা শিক্ষককে রাজকীয় বিদায়, উপহার পেলেন ওমরাহ প্যাকেজ

১৮

পাঁচ বছরে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে অন্তত ৩৫ প্রাণহানি

১৯

খায়রুল হক, নূরুল হুদা, রকিবউদ্দীনরা এখনো কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না, প্রশ্ন রিজভীর

২০
X