ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে চার দশক ধরে অধ্যাপনা করেছেন। গুম, খুন, ক্রসফায়ার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, রাষ্ট্রের সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন
নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
সি আর আবরার: আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিছু লক্ষ্যকে সামনে রেখে। তার অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিল সমাজে সমতা নিয়ে আসা। এমন একটি সমাজ তৈরি করা, যেখানে বিচার থাকবে এবং মানুষ তার অধিকারগুলো পাবে। কিন্তু আজ সেগুলো থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গেছি। এই দেশটি এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে, যেটাকে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি একনায়কতন্ত্র। মানুষ হিসেবে ন্যূনতম মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল।
একটি সরকার মানুষের ওপর দমনপীড়নের জন্য আইনকে নিজের মতো করে তৈরি করে ব্যবহার করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করেছে। বিপরীতে জনগণ কোনোভাবে পরিত্রাণ বা সুরক্ষা পাবে তেমন কোনো কাঠামো ছিল না। এক কথায় এটাকে তুলনা করা যায় ইংরেজি রুল অব জঙ্গল শব্দটির সঙ্গে। হয়তো কাগজ-কলমে আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক ছিলাম, কিন্তু আসলে আমরা দাস হিসেবে বিবেচিত হয়েছি। কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্রের ধারক-বাহকরা আমাদের দাস হিসেবে বিবেচনা করেছে। আর এসব কিছুর একটি শেষ আমরা দেখেছি, একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে এখন। ছাত্র-জনতা একত্রে মিলে সেই দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়েছে। যাকে অনেকে বলছেন গণঅভ্যুত্থান। আমি মনে করি আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং একটি দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। এটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আসল চেতনা জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে। সেটা থেকে এই দেশকে মুক্ত করে জনগণের ভালোর জন্য রাষ্ট্র কাঠামো কাজ করে সেই লক্ষ্য ধারণ করতে হবে।
গুম, খুনসহ দলীয় স্বার্থে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করার সংস্কৃতি থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
সি আর আবরার: আমাদের প্রথম কাজ হবে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। নাগরিক হিসেবে আমার একটি সিদ্ধান্ত থাকবে যে, আমি কাকে নির্বাচন করতে চাই বা কাকে ভোট দিতে চাই। রাষ্ট্রের যে কাঠামোগুলো রয়েছে, সেখানে যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না হয়। সেখানে যেন আইনের শাসন বিদ্যমান থাকে। ক্ষমতা যেন এক ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত না হয়। মানুষের যেন এমনটা মনে না হয় যে, তিনি রাষ্ট্র দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন। মানুষের নিরাপত্তা পাওয়ার এবং বিচার পাওয়ার অধিকার থাকে। পুলিশ এবং আদালত যেন মানুষের রক্ষাকবচ হয়।
দুর্ভাগ্যবশত এ দেশের মানুষ অনেক আগে থেকেই তার নিরাপত্তার এবং বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগকে বিগত সরকার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই প্রতিটি সরকারের মধ্যে এ প্রবণতা কমবেশি দেখেছি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনো বায়বীয় বিষয় নয়। সংবিধান লেখার সময় সেখানে পরিষ্কারভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে—এ লক্ষ্যে আমরা যুদ্ধ করেছি এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছিলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা বা লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে কাজ করেননি। বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শব্দটি তারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে যাচ্ছেতাই করে ফেলেছেন।
আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও বাস্তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বহু দূরে সরে গিয়েছিল। তারা অনেকে বলেন, অন্য ধরনের একটি শক্তি মাথা তুলতে পারে, মানুষের অধিকার হরণ হবে, পুরুষ-নারীর মধ্যে বৈষম্য ঘটাবে ইত্যাদি। অথচ তার কাউন্টারি আইডোলজি তারা সৃষ্টি করতে পারেননি। আজ আমাদের তরুণদের একটি অধিকারভিত্তিক সমাজ উপহার দিতে পারিনি। একজন তরুণ যে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, সেই হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং রাষ্ট্রের কাছে দাবি উত্থাপন করতে পারে, এটুকুও আমরা তাদের দিতে পারিনি।
আমরা দেখেছি, আমাদের পার্লামেন্টে যেটুকু আলোচনা হতো সেখানে পাঁচ মিনিটের বক্তব্যে তিন মিনিটই চলে যেত অতীত এবং বর্তমান নেতৃত্বের প্রশংসা করতে করতে। জনগণের কথা তাদের মুখে জায়গা পেত না। এই সবকিছুকে ঢেলে সাজাতে হবে। দলীয় ও ব্যক্তির লেজুড়বৃত্তি থেকে বের হতে হবে।
দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। বিগত দশকগুলোতে আমরা দেখেছি কীভাবে এ দেশে লুটপাট চালানো হয়েছে। এই লুটপাটের রাস্তা বন্ধ করতে হবে। সরকারপ্রধান বলেছেন, তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক, সে হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। একটা রাষ্ট্রব্যবস্থা কতটা নিচে নামলে এভাবে অবলীলায় নিজের পিয়নের ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা বলতে পারেন সরকারপ্রধান! একজন পিয়ন রাতারাতি আলাদিনের চেরাগ দিয়ে ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়নি। এই দায় কার? প্রধানমন্ত্রী এমন কাঠামো সৃষ্টি করেছেন, যাতে তার পিয়ন এমন দুর্নীতির সুযোগ পায়।
এসব কিছু থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ আমরা চাই। আমি বারবার বলি আইনের শাসনের কথা, এ দেশের মানুষ আইনের শাসন চায়। আইনের শাসন এবং মানুষের অধিকারের ওপর ভিত্তি করে আমাদের একটি রাষ্ট্র কাঠামো গঠন করতে হবে। আর এ রাষ্ট্র কাঠামোকে নতুন করে গড়ে তুলতে আমাদের ফিরে যেতে হবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময়ে। বাংলাদেশের দ্বিতীয়বার জন্ম হয়েছে। দ্বিতীয় রিপাবলিক তৈরি হয়েছে—এটা ধারণ করে এবং সেই উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্র গঠনের জন্য আমাদের তরুণ সমাজ নতুন একটি সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার কীভাবে করা যেতে পারে?
সি আর আবরার: আমি মনে করি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আমূল সংস্কার প্রয়োজন। পরিতাপের বিষয় হলো, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এজেন্সিসহ প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এমনভাবে অন্ধ দলীয়করণ হয়েছে, যা ভয়াবহ। ল এনফোর্সমেন্টের সঙ্গে যুক্ত বাহিনীগুলোতে যখন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তখন প্রার্থীর বাড়ি কোথায়, সে ছাত্রলীগ করেছে কি না, তার পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না, আত্মীয়স্বজনরা ভিন্নমতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কি না—এগুলো বিচার করা হয়েছে। তার মেধা যোগ্যতা কী, সেটা দেখার প্রয়োজন মনে করা হয়নি। এভাবে অনৈতিক দলীয় নিয়োগগুলোর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে দলীয় ক্যাডার তৈরি করা হয়েছে। আর এর ফলে আমরা দেখলাম সাধারণ মানুষের ওপর তাদের হিংস্রতা।
ভিন্ন মতাবলম্বী বা অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামা ছাত্র-জনতার ওপর অ্যাগ্রেসিভ হওয়ার কারণ এটি তাদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছে। তারা জানে বিরাজমান ব্যবস্থা না থাকলে হয়তো তাদের অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হতে পারে। তারা মানুষের সঙ্গে এতটাই অন্যায় করেছে যে, প্রতিটি মানুষ প্রতিশোধ নিতে চায়। ওবায়দুল কাদের বারবার বলেছেন, যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তাহলে মানুষ তাদের কচুকাটা করবে। আমি শুকরিয়া জানাই যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হলেও এ দেশে তেমনটা ঘটেনি।
আওয়ামী লীগ একদিকে ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোতে দলীয় ক্যাডার ঢুকিয়েছে, অন্যদিকে তাদের মানবিক মূল্যবোধ থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দিয়েছে। এ বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে তারা প্রতিপক্ষকে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে। একদিকে তারা নিজেদের মনুষ্যত্ব হারিয়েছে, অন্যদিকে যাকে প্রতিপক্ষ বিচার করেছে তাকে মানুষ হিসাবে ভাবছে না। সব মিলে তারা বন্য পশুর মতো আচরণ করেছে। সব থেকে ভয়ংকর হলো, এ আচরণকে তারা কালচার তৈরি করে ফেলেছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এটাকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে। হলে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেটার বিচার করেনি।
এ নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজাতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ তৈরি এবং মানবিক অধিকারকে সম্মান করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে এসব বাহিনীর নেতৃত্বে সঠিক ব্যক্তিকে নিয়ে আসতে হবে। এটা খুব বেশি সময়সাপেক্ষ কাজ নয়। কালক্ষেপণ করার কোনো সুযোগ নেই। যেসব জায়গা থেকে অপশক্তির উত্থান ঘটতে পারে, সেসব জায়গায় দ্রুত সংস্কার করতে হবে। সর্বোপরি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে অনেকেই হয়তো হুকুমের দাস হিসেবে কাজ করেছে। সবাই যে উৎসাহের সঙ্গে কাজ করেছে, এমনটা নয়। তাই সবাকেই শাস্তি না দিয়ে যারা দায়ী তাদের আগে চিহ্নিত করতে হবে। যারা লঘু অপরাধে দণ্ডিত তাদের আমরা এক কাতারে ফেলব না। সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে দুষ্টচক্র তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সুযোগ নিতে পারে। তাই এ জায়গাতেও সতর্ক থাকতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে হলে করণীয় কী বলে মনে করেন?
সি আর আবরার: এ বিষয়ে হয়তো একেকজন একেকভাবে চিন্তা করবেন। তবে আমার মনে হয়, আমাদের অতীত থেকে সম্পূর্ণ বিচ্যুতি ঘটিয়ে একটি নতুন ধারা শুরু করা প্রয়োজন। আমাদের সংবিধান নতুন করে রচনা করা প্রয়োজন। যে সংবিধান স্বৈরাচার তৈরি করে তার ওপর ভিত্তি করে শপথ নিয়ে কতটুকু বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারব, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
গণঅভ্যুত্থান কারও বদান্যতায় আসেনি। রাজনৈতিক দলগুলোরও তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। বিদেশি শক্তি বা কোনো ডোনার এজেন্সির শক্তি ছিল না। নাগরিক সমাজের কোনো ভূমিকা ছিল না। ছাত্ররা এবং সাধারণ জনতা যারা শোষিত হয়েছেন, তারা নিজেরা সংগ্রাম করে এ দেশকে ফ্যাসিবাদ থেকে নতুন করে স্বাধীন করেছেন।
আমার কেন জানি ভয় হয়, যদি কখনো কোনো অপশক্তির উত্থান ঘটে বা অপশক্তি সুযোগ পায়, তবে এ সংবিধানের বলেই আজকে যারা ছাত্র-জনতার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, তাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে। এই সংবিধান এই আইন বা এই আদালতের বাইরে অন্য কোনোভাবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈধতা দেওয়া গেলে ভালো হবে। আইনগত জটিলতার কোনো বিষয় নেই, কারণ যারা এই বিপ্লব ঘটিয়েছে তারা এ দেশের জনগণ। আর রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণই।
রাষ্ট্রের সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হলে কী ধরনের সামাজিক উদ্যোগ দরকার বলে মনে করেন?
সি আর আবরার: প্রথমত প্রত্যেক নাগরিককে এটা বুঝতে হবে যে, সে এই রাষ্ট্রের একজন অংশীদার। রাষ্ট্রের অংশীদার হিসেবে নাগরিকরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। রাষ্ট্রের ভালোমন্দ নিয়ে তারা চিন্তা করবেন। রাষ্ট্রের সব অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর মানুষের আস্থা প্রতিষ্ঠা পায়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হবে তার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তার নিজ নিজ ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে এবং ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে দিতে হবে। শুধু তখনই আমরা রাষ্ট্রকে জবাবদিহির মধ্যে আনতে পারব।
রাষ্ট্র কোনো বেসরকারি সংস্থার মতো না। এটা সম্পূর্ণ আলাদা একটি জায়গা। এখানে নাগরিকদের অধিকারের জায়গা রয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ নয় বরং সব নাগরিকের স্বার্থে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও এটা বুঝতে হবে। শুধু তখনই আমরা কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে যেতে পারব।