সুস্বাস্থ্যে এখন ইয়োগাকে অস্বীকার করার জো নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা সূত্র কষে বের করেছেন আরও কিছু। মুখের ৪২টি মাংসপেশি থেকে শুরু করে গণ্ডদেশ ও চোয়ালের জুতসই লুক পেতেও আছে হরেক ইয়োগা
স্বরবর্ণ চর্চা
এই ইয়োগা করতে হবে ঘুম থেকে উঠেই। জোরে জোরে আ, ই, ও, আই, উ এমন পাঁচটি স্বরবর্ণ বলতে হবে। প্রথম প্রথম ১০ বার করে ও পরে ২০-৩০ বার করে বলার চেষ্টা করুন। মুখের মাংসপেশির বড় ব্যায়াম এটি।
চোয়াল ঠেকানো
চোয়ালের নিচে মুষ্টিবদ্ধ হাত রাখুন। এরপর একই সঙ্গে মুখ খোলার চেষ্টা করুন আবার হাত দিয়ে সেটা বন্ধ করারও চেষ্টা করুন। অর্থাৎ মুখ ও হাতের মধ্যে এক ধরনের দড়ি-টানাটানি শুরু হবে এতে। লাভ হবে কী? ‘ডাবল চিন’ তথা দ্বৈত থুতনি বলে যে সমস্যাটা আছে সেটা ধীরে ধীরে কমে যাবে। আবার জ-লাইনটাও হবে আরও মানানসই।
চোখচর্চা
কপালে দুহাত চেপে ধরুন। তারপর দ্রুত চোখ বন্ধ করুন আর খুলুন অন্তত ১০ বার। এতে চোখের মাংসপেশিগুলো শক্তিশালী হবে। আবার একই ব্যায়াম করতে পারেন দুই চোখের দুই কোণে তর্জনী বা মধ্যমা রেখেও।
হাসির রেখা
অনেক সময় হাসলে মুখে এমন ভাঁজ পড়ে, যা নিজের কাছে অস্বস্তিকর লাগে। নাকের দুই পাশের ওই ভাঁজটার নাম হলো ‘লাফিং লাইন’। ওই রেখার ওপর আলতো করে আঙুল রেখে যত বেশি সম্ভব ঠোঁট ফাঁক করে চওড়া করে হাসুন। এ নকল হাসি ধরে রাখুন ৫-১০ সেকেন্ড। এভাবে ২০-২৫ বার করুন। এতে ঝুলে পড়া থুতনিও ওপরের দিকে উঠবে।
ওপরে টান
ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা ফেসওয়াশ; মুখে যত যাই কিছু ঘষুন, সেটা যেন নিচ থেকে ওপরের দিকে হয়। কারণ এর উল্টোটা করলে চামড়া নিচের দিকে ঝুলে পড়বে দ্রুত। আর যত ওপরের দিকে থাকবে, ততই টানটান থাকবে মুখের ত্বক।