স্ত্রী চলে যাওয়ায় শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

দ্বিতীয় বউ চলে যাওয়ায় প্রথম স্ত্রীর ৮ মাসের শিশু সন্তানকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই বাবা মামুন শেখের বিরুদ্ধে। গত সোমবার নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিশুর নাম আল-হাবিব। এ ঘটনায় জড়িত শিশুর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামুন শেখ উপজেলার রঘুনাথপুরের দাউদ শেখের ছেলে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় শিশুর মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামুন শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর আগে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক মামুন শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় কুলসুম বেগমের। তাদের রয়েছে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এক বছর আগে মামুন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পর থেকে প্রথম স্ত্রীর খোঁজ নেন না, প্রায়ই যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করেন। সোমবার মামুন কুলসুমকে ১ লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এ সময় মামুন শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী মাফুজা আক্তার সাথী কুলসুমকে মারধর করে পালিয়ে যান। দ্বিতীয় বউ চলে যাওয়ায় মামুন ৮ মাসের শিশু হাবিবকে ধরে নিয়ে আম গাছের ডালে পা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর তাকে মারধর করা হয় এবং শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়।