অনুমোদন ছাড়া ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাভার্ডভ্যানে সিলিন্ডার বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল চক্রটি। খবর পেয়ে এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও ৬১৪টি সিলিন্ডারসহ ৪টি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে র্যাব-৭।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক থেকে গতকাল সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন আজিজুল হক, আলমগীর ও হুমায়ুন কবির।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ভ্রাম্যমাণ সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন করে তরল গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে লাইসেন্সবিহীন ৪টি কাভার্ডভ্যান ও ৬১৪টি গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে কার্ভাডভ্যানে সংযুক্ত সিলিন্ডার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্যাস বিক্রি করে আসছিল। প্রতিটি কাভার্ডভ্যানে ১৫৩টি করে সিলিন্ডার স্থাপন করা ছিল।
র্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিলিন্ডারগুলো অনেক পুরোনো এবং কখনো এগুলোর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়নি।
র্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার বলেন, গাড়িতে স্থাপিত সিলিন্ডার থেকে অনিরাপদভাবে ডিস্ট্রিবিউশন মেশিনে লাইন নিয়ে সেখান থেকে অটোরিকশা ও বিভিন্ন গাড়িতে গ্যাস দেওয়া হতো। মেশিনটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ভেতরে সস্তা তারের মাধ্যমে
ইলেকট্রিক সংযোগ দিয়ে আলোর জন্য লাইট লাগানো হয়েছে। যে কোনো সময় সেখানে শর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিসংযোগ হতে পারে এবং বৃহৎ আকারের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি সিএনজি গ্যাস সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে প্রতি লিটার সরকার নির্ধারিত ৪৩ টাকা দরে হলেও চোরাই পথে ৬২ টাকা দরে বিক্রি করে।