মৌলভীবাজারে মৃত ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে ১৩টি বিপন্ন প্রজাতির শকুন ও শিয়াল হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে বন বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার রাতে মো. রোকন ও কচনু মিয়ার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলাটি করেন মৌলভীবাজার সদর বন্যপ্রাণী রেঞ্জের বর্ষিজোড়া বিটের বিট কর্মকর্তা আবু নাঈম মো. নুরুন্নবী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার সদরের একাটুনার বড় কাঁপন গ্রামের রোকন ও কচনু মিয়ার কয়েকটি ছাগল মেরেছিল শিয়াল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা মৃত ছাগলে বিষ দিয়ে ফেলে রাখে। আর তা খেয়ে ১৩টি শকুন, দুটি শিয়াল, দুটি কুকুর ও একটি বিড়াল মারা যায়।
এলাকাবাসী জানায়, কিছুদিন ধরে গ্রামে শিয়ালের উৎপাত বাড়ছে। অনেকের ছাগল খেয়ে ফেলছে শিয়ালগুলো। তাই কেউ শিয়াল ধরতে মৃত ছাগলের ওপর বিষ দিয়েছে। বড় কাঁপন গ্রামের বুড়িকোনা ফসলি জমির মাঠে কয়েক দিন ধরে শকুন, শিয়াল, কুকুর ও বিড়ালের মৃতদেহ পড়ে আছে। মৃতদেহগুলোর পাশে সেমকাপ নামের তিনটি কীটনাশকের বোতলও পড়ে ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ১০টি মৃত শকুন উদ্ধার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিলেট ল্যাবে পাঠায়। এ ছাড়া সেখানে আরও তিনটি মৃত শকুনের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা শ্যামল মিত্র বলেন, মৃত ছাগলের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করায় প্রায় ১৩টি শকুনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু শকুন নয়, এর পাশাপাশি অনেক কুকুর, শিয়াল ও বিড়াল মারা গেছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।