খুলনায় যুবলীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে কুয়েটের পকেট গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফুল ইসলাম আরিফ (৪০) যোগীপোল ইউনিয়নের সাবেক সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
তবে হত্যাকাণ্ডের এক দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল বিকেল পর্যন্ত মামলাও হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, জমি দখল, জমির দালালি ও স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ তিনটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত সোয়া ১১টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন আরিফ। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত এসে প্রথমে দূর থেকে এবং পরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে গুলি করে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সাবেক মেম্বার আরিফ রাতে তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে এসে তাকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। হত্যাকারীদের আটক করতে অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, আরিফ এলাকায় জমি ব্যবসার দালাল হিসেবে কাজ করতেন। এ ছাড়া একপক্ষের হয়ে অন্যপক্ষ থেকে জমির দলিল বুঝিয়ে দিতে পেশিশক্তি নিয়োগ করতেন। এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে এসব কারণ কাজ করতে পারে। এ ছাড়া রাজনৈতিক বিরোধের বিষয়টি নিয়েও তদন্ত চলছে।
নগরীর আড়ংঘাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাফন শেষে পরিবার মামলা করবে বলে জানিয়েছে।