রাজন ভট্টাচার্য
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০৩:৩৯ এএম
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৪, ০৭:৩৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অর্থ ছাড়া সুনীল অর্থনীতি নিয়ে ‘অর্থহীন’ পরিকল্পনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
অর্থ ছাড়া সুনীল অর্থনীতি নিয়ে ‘অর্থহীন’ পরিকল্পনা

রাজন ভট্টাচার্য 8

সুনীল অর্থনীতির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সমুদ্র সম্পদ আহরণ এবং এ সংক্রান্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এর ছয়টি মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করা হলেও এর সময়সীমা ও বাজেট চূড়ান্ত করা হয়নি। ফলে এ সবকিছুই অনর্থক পরিকল্পনা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

সব মিলিয়ে মোট পরিকল্পনা ১৪২টি। দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা ২৭টি। ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা ৪২টি এবং পাঁচ বছরের বেশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সংখ্যা ৪৫টি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, বিআইডব্লিউটিসি, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, পায়রা, মোংলা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।

তবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়সীমা নির্ধারণ ও অর্থ সংস্থান ছাড়া এসব উদ্যোগ অর্থহীন। এটি শুধু কাগজে-কলমে থাকবে, বাস্তবায়ন হবে না। একই মত মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তারও। তারা বলেছেন, সময় ও অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি পরিকল্পনায় যুক্ত না থাকায় এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। প্রকৃত অর্থে এটি অপরিকল্পিত ও অসম্পূর্ণ। সুনীল অর্থনীতিকে বাস্তবে রূপ দিতে অর্থবহ পরিকল্পনা প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সমন্বয় কমিটি অনুমোদিত ‘সুনীল অর্থনীতি উন্নয়ন পরিকল্পনা’ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বাণিজ্যিক নৌ পরিবহনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অংশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে মোট আমদানি ছিল ৬৮ দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই সময়ে রপ্তানি ছিল ৪১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উল্লিখিত মোট বাণিজ্যিক পরিবহনের ৯৫ ভাগের বেশি সমুদ্রপথে এবং তিনটি প্রধান সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছে। ৩ হাজারের বেশি জাহাজ এই পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। ভাড়া হিসেবে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধিত হয়।

আগামী ২০৪৩ সালের মধ্যে জাহাজের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। কেবলমাত্র চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ১৪ মিলিয়ন টিইইউ কার্গো হেন্ডেল করার সক্ষমতা অর্জন করবে। ২০১৯ সালে এই বন্দর তিন মিলিয়ন টিইইউ ক্লাবে পৌঁছেছে। বর্তমান বাস্তবতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিবেচনা করে সরকার উপকূল বরাবর বিভিন্ন কৌশলগত অবস্থানে খাতভিত্তিক বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল, বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী বাণিজ্যিক টার্মিনাল নির্মাণের মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর এলাকা সম্প্রসারণে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।

জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে কালবেলাকে বলেন, সমুদ্র ঘিরে যে কার্যক্রম নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

শুরু করেছে, তা আগামী দিনে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও কূটনৈতিক চিন্তার ফসল হিসেবে সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে।

নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পণ্য পরিবহনে ছয়টি জাহাজ সংগ্রহের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরও ২১টি জাহাজ সংগ্রহ করা হবে। গভীর সমুদ্র থেকে ১২১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে ইস্টার্ন রিফাইনারি প্ল্যান্টে অপরিশোধিত তেল পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বরগুনায় শিপ বিল্ডিংয়ের জন্য কার্যক্রম চলমান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়ানো হচ্ছে। বন্দরগুলো পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে সমুদ্র পরিবহন ও সমুদ্র অর্থনীতির অংশ উন্নত (আপগ্রেড) হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব উদ্যোগ বাস্তবায়নের কথাও জানান তিনি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১২ ও ২০১৪ সালে জার্মানির সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (আইটিএলওএস) এবং নেদারল্যান্ডসের হেগে সালিশি ট্রাইব্যুনালে সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার বিষয়ক দুটি রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসে। এতে দেশের মোট সমুদ্রসীমা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ১২ নটিক্যাল মাইল রাষ্ট্রাধীন অঞ্চল; ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল। চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর দেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সুনীল অর্থনীতির নতুন ও অবারিত দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুনীল অর্থনীতি কার্যক্রম, সমুদ্র সম্পদ আহরণ এবং এ সংক্রান্ত কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ছয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

এই কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার ছয়টি মূল ছয়টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিশ্বমানের বন্দর স্থাপন, মেরিটাইম ও নৌপরিবহন ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে সমুদ্র বন্দর ও গভীর বন্দরগুলোর উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি। আঞ্চলিক ও উপাঞ্চলিক কোস্টাল শিপিংয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। দ্বিপক্ষীয়, উপ-আঞ্চলিক এবং আঞ্চলিক সমঝোতা স্বাক্ষর, চুক্তি প্রটোকল ইত্যাদি সম্পাদনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্য সম্প্রসারণ। কোস্টাল ট্যুরিজমের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়ন। মেরিটাইম এডুকেশন সেক্টরের প্রসারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের দক্ষ ও অর্ধদক্ষ নৌকর্মী, দক্ষ নাবিকদের কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণ, উপার্জন বৃদ্ধি। অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের ক্ষেত্রে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথের নাব্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন।

স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা

স্বল্পমেয়াদি ২৭ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, কর্ণফুলী নদীতে চট্টগ্রাম ড্রাইডক সংলগ্ন এলাকায় ৬০০ মিটার দৈর্ঘের নতুন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ। কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট এলাকায় নির্মিত ৪০০ মিটার জেটি সচলকরণ এবং নদীর নাব্য বৃদ্ধিতে ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন। নিউমুরিং ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ, দ্বিতীয় নিউমুরিং ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ। এই চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, পশুর চ্যানেলের রামপাল পর্যন্ত ড্রেজিং, রুজভেল্ট জেটির অবকাঠামো উন্নয়ন, ভিটিএমআইএস প্রবর্তন, আউটার বারে ড্রেজিং, টাগবোট সংগ্রহ, মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহ এবং বন্দরের দুটি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ।

গভীর সমুদ্রে কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধার উন্নয়নে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের দুটি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সি ক্রুজ ও কোস্টাল ট্যুরিজমের ব্যবস্থা এবং শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের সঙ্গে কোস্টাল ট্যুরিজজের সম্ভাব্যতা যাচাই।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল উপকূলীয় রুটে দক্ষ যাত্রীবাহী সার্ভিস পরিচালনার লক্ষ্যে যাত্রীবাহী জাহাজ নির্মাণ। ঢাকা-খুলনা-বরিশাল নৌরুটের জন্য নতুন দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ সংগ্রহ। প্রতিষ্ঠানের পুরোনো ডাম্প ফেরি প্রতিস্থাপনকল্পে দুটি উন্নতমানের কে-টাইপ ফেরি নির্মাণ। প্রতিষ্ঠানের জন্য চারটি কে-টাইপ ও চারটি কনভেনশনাল পল্টুন নির্মাণ। চট্টগ্রাম টার্মিনাল-১ জমিতে জেটি নির্মাণ। বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলংকা-মালদ্বীপ—এই চার দেশের মধ্যে ক্রুজ সার্ভিস চালুর জন্য শিপ সংগ্রহ প্রকল্প অনুমোদন ও ডিজাইন চূড়ান্তকরণ এবং শিপ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের যুক্ত করা এবং নির্মাণাধীন দুটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী জাহাজে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, মজু চৌধুরী হাট এবং ইলিশা ঘাটে নৌ পর্যটনের সুবিধা সংবলিত নদীবন্দর স্থাপন। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে কোস্টাল যাত্রী সার্ভিস চালু, অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প (১ম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথ)। ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের খনন প্রকল্প। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন চীন সরকারের সহায়তায় ছয়টি নতুন জাহাজ, তিনটি ওয়েল ট্যাঙ্কার এবং তিনটি নতুন বাল্ক ক্যারিয়ার কেনা। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির দুটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, মাস্টার্স কোর্স পরিচালনা ও বাংলাদেশে স্থাপিত নতুন চারটি একাডেমিকে কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখা। ন্যাশনাল মেরিটাইমস ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে রয়েছে ইনস্টিটিউটের মাদারীপুর শাখা শীর্ষক প্রকল্প।

মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা

দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি লালদিয়ায় মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্য বৃদ্ধি প্রকল্প, ব্লু-ইকোনমি উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য জাহাজ খাতের উন্নয়ন, বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও আটটি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং নতুন দুটি স্লিপওয়ে নির্মাণসহ ৪২টি পরিকল্পনা।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

পাঁচ বছরের বেশি নেভিগেশন এইড সংগ্রহ, অয়েল স্পিল ভেসেল, জয়মনিগোলে মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জলযান সংগ্রহ, নদীশাসন কার্যক্রম গ্রহণ, ১০টি ব্লাল্ক ক্যারিয়ার ও ছয়টি ক্রুজ শিপ, চারটি সেলুলার কনটেইনার জাহাজ ক্রয়সহ ৪৫টি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্যিক নৌপরিবহনে আট অবকাঠামো উন্নয়ন

এগুলোর মধ্যে রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষসমূহ ২০২০-৩০ সালের মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ২০২০-৩০ সালের মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন। ২০২০-৩০ সালের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষসমূহের উদ্যোগে কনটেইনার পরিবহন। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০২০-২৫ সালের মধ্যে আধুনিক গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন। নৌ মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিএর উদ্যোগে ২০২০-২৫ সালের মধ্যে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে থাকবে বিএনপি : আজাদ

সাড়ে ৩ কোটি টাকার চাল নিয়ে লাপাত্তা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা

সাতক্ষীরায় ৯ মাস বেতন পাচ্ছেন না ৪২০ শিক্ষক

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে পোশাক কারখানা

বৃষ্টি আর কত দিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়া-লেবানন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

আরেক দেশ থেকে ইসরায়েলে হামলায় ২ সেনা নিহত, আহত ২৪

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জবির স্লোগান ‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’

১০

শিক্ষক দিবসে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে

১১

হত্যা মামলায় রসিকের সাবেক কাউন্সিলর মিলন গ্রেপ্তার

১২

বৈরুত বিমানবন্দরের পাশেই ইসরায়েলি তাণ্ডব

১৩

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৪

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা : ড. ইউনূস

১৬

বন্যার পানিতে মায়ের লাশের সঙ্গে ভেসে এল শিশু

১৭

লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ, পিছু হঠল ইসরায়েলি বাহিনী

১৮

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজা কখন-কোথায়?

১৯

আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপি

২০
X