রংপুর ব্যুরো ও মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ০৮:২৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ও সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করণীতে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এতে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

গতকাল শনিবার সংগঠনটির মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার এক সাধারণ সভায় এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় বলা হয়, জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এক রাতে একই রকমের দুটি ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠন। উপজেলার ১৬ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের রতিয়া গ্রামের রতিয়া কালীমন্দিরে কালী, শীতলা ও শিবমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুব্রত ভৌমিক টুকু গত শুক্রবার বিকেলে তার নিজ জমিতে যান। ফেরার পথে দেখেন মন্দিরের কালী, শিব ও শীতলা প্রতিমার মাথা ভাঙা। এরপর তিনি স্থানীয়দের খবর দেন।

টুকু জানান, ১ মে মন্দিরে এসেছিলেন। সেদিনও মন্দিরের সবকিছু ছিল অক্ষত। এরপর কোনো এক সময় অজ্ঞাতরা মন্দিরের লোহার গ্রিলের গেট ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন মহন্ত, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) আবু হাসান মিয়া, বিদায়ী সহকারী পুলিশ সুপার ডি-সার্কেল কামরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায়, মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার সভাপতি নির্মল চন্দ্র বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক সনজিৎ কুমার মহন্ত, পূজা উদযাপন পরিষদ মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার সভাপতি সুবল মহন্ত প্রমুখ।

মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ ঘটনাটি কে কখন করেছে তা এখনো চিহ্নিত করতে পারিনি। এ ঘটনায় মন্দিরের সভাপতি বিভূতিভূষণ বর্মণ মামলা করেছেন। চেষ্টা চলছে অপরাধীদের ধরতে। রংপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রামজীবন কুণ্ড জানান, এটি একটি দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। নির্বাচনের বছরে এমন ঘটনা আমরা আশা করি না। আমরা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

অন্যদিকে সদ্যপুষ্করণী মাঝিপাড়া গ্রামের হরিচরণ বর্মণের বাড়ির কালীমন্দির ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক জানান, শুক্রবার বিকেলে হরিচরণ বর্মণের বাড়িতে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান চলাকালে মাইক ব্যবহার করা হয়। এ নিয়ে কয়েকজন তরুণের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে কে বা কারা মন্দির ভাঙচুর করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিমা জামান ববি, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল রানা, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাসহ গণ্যমান্যদের সমন্বয়ে একটি সমঝোতা বৈঠক হয়। এ ঘটনায় জড়িতরা দায় স্বীকার করলে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্কিন চাপকে পাত্তাই দিল না ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা

সমাবর্তনের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের সনদ আটকে না রাখার নির্দেশ

তেঁতুলিয়ায় নেমে গেছে পানির স্তর, চরম সংকটে কয়েক গ্রামবাসী

বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে : ওবায়দুল কাদের

উষ্ণতম এপ্রিলে পুড়ছে দেশ, কবে আসবে স্বস্তির বৃষ্টি

জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি

দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ১

কুয়াকাটায় কাঁদতে কাঁদতে ইসতিসকার নামাজ আদায়  

কোপায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইনকে নিয়ে শঙ্কা

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে : শেখ হাসিনা

১০

গরমে স্মার্টফোন বিস্ফোরণ এড়াবেন যেভাবে

১১

থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

১২

ভোলায় দ্বিতীয়বার বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

১৩

ইপিএলে সর্বোচ্চ গোলের নতুন রেকর্ড

১৪

তীব্র গরমে বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদা 

১৫

ইমরান খানের ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা আদালতের

১৬

গেইলকে ভয় পান বোল্ট!

১৭

৪৬তম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষা শুরু

১৮

দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও সহকারী নিহত

১৯

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১৫৫

২০
*/ ?>
X