মাসুদ রানা
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩১ এএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হলমার্ক কেলেঙ্কারির আরও ১০ মামলা বিচারাধীন

অর্থ আত্মসাৎ
হলমার্ক কেলেঙ্কারির আরও ১০ মামলা বিচারাধীন

১১ বছর আগে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ১১টি মামলা হয়। এসব মামলার মধ্যে একটির বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ১০টি মামলা ঝুলে আছে। এসব মামলার বিচার শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলেই অর্থ আত্মসাৎ হওয়া টাকা ফিরে পেতে পারে সরকার।

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর তৎকালীন দুদক উপপরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে বিশেষ টিমের সদস্যরা বাদী হয়ে ১১টি মামলা করেন। মামলাগুলোয় হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির ও সোনালী ব্যাংকের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল শাখার সাবেক ডিজিএম একেএম আজিজুর রহমানসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ১১টি মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, এমডি তানভীর মাহমুদ, তার ভায়রা তুষার আহমেদসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়। পরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। পরে এই ১১টি মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এ বদলি করা হয়। তার মধ্যে ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে অর্থ আত্মসাতের মামলার বিচার শেষে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

তানভীর ও তার স্ত্রীর আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, দুদকের দায়ের করা ১১টি মামলার মধ্যে একটির রায় হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। আশা করছি, উচ্চ আদালতে সাজা ও জরিমানা স্থগিত হবে। অন্য ১০টি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সেগুলোতে ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করি।

দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বলেন, তদন্তে ১১টি মামলায় দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার মধ্যে এক মামলায় রায়ের আসামিদের সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলোর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এসব মামলার বিচার কাজ শেষ হবে।

এদিকে মঙ্গলবার রায় হওয়া একটি মামলায় আসামিদের সাড়ে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে সরকার তাদের অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে তা আদায় করতে পারবে। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান কালবেলাকে বলেন, পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি আইনের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ আদায় করা যাবে। এক্ষেত্রে সরকার জরিমানার সমপরিমাণ অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে যমুনা গ্রুপ

জনবল নেবে স্যামসাং বয়সসীমা  ২১ থেকে ২৮ বছর 

বায়ুদূষণে শীর্ষে হ্যানয়, ঢাকার খবর কী

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দি, মৃত্যু ৫

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১০

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১১

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

১২

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৩

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৪

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১৫

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

১৬

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৭

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

১৮

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৯

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক

২০
X