দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় দেড় হাজার প্রার্থী জামানত খুইয়েছেন, যা প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রায় ৭৪ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় পার্টিরই ২৩৬ জন রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঠ পর্যায়ের তথ্য এরই মধ্যে কমিশনে এসেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো এসব তথ্য একীভূত করে দেখা যায়, নির্বাচনে মোট প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২৬ শতাংশ প্রার্থীর জামানত টিকেছে। নির্বাচনে ২৭টি দলের ১ হাজার ৯৬৯ প্রার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে দলগুলো ও স্বতন্ত্র মিলে জামানত হারিয়েছেন ১ হাজার ৪৫৪ প্রার্থী।
ইসি কর্মকর্তারা কালবেলাকে জানান, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ২৫ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ খাতে ইসির আয় হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যাদের জামানত খোয়া যায়নি, তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ তুলে নিতে পারবেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায়। ২৩টি দলের অধিকাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জাতীয় পার্টি ২৬৩ আসনে প্রার্থী দিয়ে ২৩৬টি আসনে জামানত হারিয়েছে। তৃণমূল বিএনপি ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দিয়ে সব আসনেই জামানত হারিয়েছে। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২৪টি, জাতীয় পার্টি-জাপা ১১টি, জাসদ একটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি একটি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন। নির্বাচনে ২৩টি দল কোনো আসনে জয়লাভ করতে পারেনি।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৬১ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৪৪০ জন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ৩৯০ প্রার্থীর মধ্যে ১৬৩, নবম সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৫৫৭ প্রার্থীর মধ্যে ৯৪১, অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৯৩৯ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ২৫৯, সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৫৭৪ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৭৬০ এবং পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৭৮৭ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯৩৪ প্রার্থী জামানত হারান।