গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে রায়ের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও এম কে রহমান। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির। গত ১৫ মার্চ এ রুল শুনানি শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর বিভিন্ন অভিযোগে ২৫ নভেম্বর তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পরে গত বছরের ১৪ আগস্ট ওই বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৩ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এলজিআরডি সচিব, উপসচিব, আইন সচিব ও গাজীপুর জেলা প্রশাসককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রুলের ওপর গতকাল শুনানি শেষ হয়।
এদিকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করেছে তার দল। গত ১ জানুয়ারি দলীয় সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য এর আগে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না, মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ অবস্থায় আপনার পাঠানো লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো।