বগুড়ায় বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই অটোরিকশায় ছিলেন। এ সময় বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে পৌর এলাকার সুজাবাদ মহল্লায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন অটোরিকশাচালক হযরত আলী, যাত্রী সাহানা বেগম, তার মেয়ে কেয়ামণি এবং বাদশা মিয়া। নিহত অন্য ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ৪ জন যাত্রী নিয়ে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী যাচ্ছিল। অটোরিকশাটি সুজাবাদ এলাকায় দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক থেকে বাগবাড়ী সড়কে পৌঁছলে গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩ জন। স্থানীয়রা শিশু কেয়ামণি ও অটোরিকশাচালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পথে অটোরিকশাচালক হযরত আলী মারা যান।
৮ বছর বয়সী শিশু কেয়ামণিকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে শিশুটি মারা যায় বলে জানিয়েছেন মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে যান বাসের চালক ও হেলপার। এ সময় যাত্রীরা যে যার মতো বাস থেকে নেমে গেলে স্থানীয় লোকজন এতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভান।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক খন্দকার আব্দুল জলিল জানান, আগুনে বাসটির ভেতরের আসনগুলো পুড়ে গেছে।
দুর্ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে নিহত ৩ জন এবং হাসপাতালে মারা যাওয়া শিশুর মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিকশাচালক মারা গেলে স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। পুলিশ হেফাজতে থাকা ৪ জনের লাশ আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল।