‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’—কবি কালীপ্রসন্ন ঘোষের কবিতার এ পঙক্তিটি শোনেনি, এমন বাঙালির খোঁজ মেলা ভার। নিজ নিজ ভাষায় এ উপদেশ প্রচলিত রয়েছে বিশ্বজুড়ে। তবে সবাই জানলেও খুব কম মানুষই আছেন, ব্যর্থতা পেরিয়ে সফলতার খোঁজে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকেন। তেমন একজন উত্তর কোরিয়ার চা সা-সুন। মোট ৯৬০ বার পরীক্ষা দিয়ে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলেন তিনি। এর ১৫ বছর পর আবারও নেট দুনিয়ায় একাগ্রতার উদাহরণ হিসেবে ভাইরাল হয়েছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, বারবার ব্যর্থ হয়েও প্রায় হাজার দফা চেষ্টার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলেন এ নারী। ২০০৫ সালের এপ্রিলে প্রথম লিখিত পরীক্ষায় বসেন চা সা-সুন। সে সময় সপ্তাহে পাঁচ দিন এবং টানা তিন বছর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। অবশেষে ৮৬০তম বারে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষাসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে মোট ৯৬০ বার পরীক্ষায় বসেন। আর এ তিন বছরে ফি বাবদ তার খরচ হয়েছিল প্রায় ১১ হাজার পাউন্ড।
অপরিসীম ধৈর্য ও একগ্রতার পরিচয় দিয়ে সে সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনামে ওঠে এসেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার এ নারী। হয়ে উঠেছিলেন প্রেরণার উদাহরণ। এজন্য উপহার হিসেবে দেশটির গাড়ি নির্মাতা ‘হুন্ডাই’ তাকে সাড়ে ১১ হাজার পাউন্ডের গাড়ি দেয়। সম্প্রতি ঘটনাটি আবারও ভাইরাল হয়েছে রেড্ডিটে। একাগ্রতার এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিশ্ববাসী আবারও মনে করছে তাকে।